গাজায় সংঘাত

যুক্তরাষ্ট্রে এপেক বিরোধী বিক্ষোভ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় সংঘাত বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোয় বিক্ষোভ করেছে ‘নো টু এপেক জোট’-এর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তাদের মধ্যে পুঁজিবিরোধী থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনিপন্থি উকিলরাও ছিলেন। বিক্ষোভের সময় গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যা বন্ধের দাবি করেন তারা। জোটটি একশটির বেশি স্থানীয় সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত। খবর: এপি।

সানফ্রান্সিসকোয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) সম্মেলন কেন্দ্র করে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরামে অংশ নেয়া বিশ্ব প্রতিনিধিদের ব্যবসার ঊর্ধ্বে মানুষ এবং পৃথিবীকে রাখার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

ওই দিন শহরটির একাধিক রাস্তায় নেমে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সেøাগান ও মিছিল করেন ‘নো টু এপেক জোট’-এর বিক্ষোভকারীরা। সেøাগানে গাজায় গণহত্যা বন্ধে এপেক নেতাদের আহ্বান জানান তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা এবং যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে প্ল্যাকার্ড ছিল।

বিক্ষোভকারীদের সংগঠন নো টু এপেক জোট বলেছে, এপেকের মতো শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য চুক্তিগুলো শ্রমিক শোষণ ছাড়া আর কিছুই না।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক সংগঠক বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য মার্কিন সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।

রোববারের এ বিক্ষোভে ফিলিস্তিনের গণহত্যা, শ্রমিক সুরক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনও বিক্ষোভে অংশ নেয়।

এদিকে বিক্ষোভ সম্পর্কে অবগত ও সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে সানফ্রান্সিসকো পুলিশ বিভাগ। বিভাগটির প্রধান বিল স্কট বলেন, জনগণ তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করবে, তবে বিক্ষোভের নামে কোনো প্রকার সহিংসতা সহ্য করা হবে না।

এর আগে সানফ্রান্সিসকোতে গত শনিবার থেকে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত চলবে এ সম্মেলন। এ সপ্তাহের এপেক সম্মেলনে শত শত আন্তর্জাতিক সাংবাদিকসহ ২০ হাজারের বেশি মানুষ সানফ্রান্সিসকোয় জড়ো হবেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ফোরাম এপেক। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মেক্সিকো, ব্রাজিল এবং ফিলিপাইনসহ বিশ্বের ২১টি দেশ এ সংগঠনের সদস্য।