যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে বাধাহীন সুবিধা চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে বাধাহীন সুবিধা চায় বাংলাদেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রোববার বিকালে ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ দাবি উত্থাপন করে। এ সময় বাণিজ্য, কৃষি, শ্রম ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ইউএস কটন থেকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস পণ্য তৈরি করে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করবেÑ এ ধরনের কোনো দাবি তোলা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় বাণিজ্য সচিবকে। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত টিকফা সভায় আমরা আনুষ্ঠানিক দাবি জানিয়েছি। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইনফরমালি বিজিএমইএ, বিকেএমইএ নেতারা যখন ইউএস গিয়েছেন তখন হয়তো আলোচনা করেছেন। আগে থেকেই তারা দাবি তুলেছেন। ফরমালি গত ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে আমরা বলেছিলাম ফিউমিকেশনের বিষয়টি আমরা রিলাক্স করব। কিন্তু তোমাদেরও আমাকে কিছু দিতে হবে। আমরা তোমাদের দিয়ে দিলাম কিন্তু তোমরা বাংলাদেশকে কী দিচ্ছো? এজন্য তাদের বলেছি, তোমাদের কটন যেন বাড়ে আর আমাদের রপ্তানি যেন বাধাহীন হয়।

ফিউমিকেশনের ক্ষেত্রে ইউএস এবং এর বাইরের দেশগুলোর কটনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে ইউএস; আরেকটা হচ্ছে আদার দেন ইউএস। এটা করা হয় সায়েন্টফিক ফাইন্ডিংসের ওপর। ইউএস কটনের বিষয়ে আমাদের একটা  টেকনিক্যাল টিম গিয়ে পরীক্ষা করে এসেছে। তারা বলেছে এটা একটু শিথিল করা যায়। এক্ষেত্রে আমরা একটা সার্টিফিকেট নেব। কিন্তু অন্য মার্কেটগুলো দেখা হয়নি। তাই এখন ইউএস কটনের ক্ষেত্রে ফিউমিকেশনের দরকার হবে না। তবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে এ সিস্টেম রাখা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যদি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিট করে যদি নিশ্চিত হয় যে এই ফিউমিকেশনের বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই, তখন তুলে দেয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আছে। এ ধরনের বিধি-নিষেধের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থাকতে হয়।

তপন বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আলোচনা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও রপ্তানির কথা এসেছে। এক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ নিয়ে যে সমস্যা আছে সেটা নিয়ে প্রত্যেক ফোরামে আলোচনা করছি। সেখানে প্লাস্টিক, ফার্মাসিউটিক্যাল, লেদারগুডস, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং, জুট এসব বিষয় রয়েছে।

জিএসপি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘জিএসপি’ উচ্চারণ হয়নি। তবে প্রিফারেন্স মার্কেট অ্যাকসেস সুবিধা তো চাচ্ছি। এছাড়া ডব্লিউটিএতে এলডিসি দেশগুলোর জন্য মার্কেট অ্যাকসেসের যে মেয়াদ বৃদ্ধি। যেমন আমাদের ২০২৬ সালের পরে জিএসপি থাকবে না। সেটার জন্য আমরা বলেছি সেখানে যেন তারা আমাদের সাপোর্ট দেয়।

আমেরিকা যদি আমাদের ডব্লিউটিএতে সাপোর্ট দেয় তাহলে অন্য দেশে আমরা সুবিধা পাবো। ডব্লিউটিএ যদি সিদ্ধান্ত না হয় অন্য দেশগুলো দেবে না। আমেরিকা যদি না দেয় অন্য দেশগুলোয় আমরা পাব।