যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হাতে হত্যার ঘটনা রেকর্ড ছাড়াল

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর বন্দুকধারীর হাতে ম্যাস কিলিং বা গণহারে হত্যার ঘটনা অতীতের যেকোনো বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি), ইউএসএ টুডে ও নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটিতে মোট ৪১টি গণহারে হত্যার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২১১ জন। যেসব ঘটনায় হামলাকারী ছাড়া চারজন বা তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে, সেসব তথ্য এতে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর: বিবিসি।

২০১৯ সালের সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী হামলার মধ্যে মে মাসে ভার্জিনিয়া সৈকতে হামলায় ১২ জন এবং আগস্টে এল পাসোতে হামলায় ২২ জনের মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। ৪১টি ঘটনার মধ্যে ৩৩টিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে জানান গবেষকরা। রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণহারে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেখানে মোট আটটি ঘটনা ঘটেছে।

২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে হত্যার ঘটনা পর্যায়ক্রমে শনাক্ত করে এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে। তবে সত্তরের দশকের পর কোনো গবেষণায়ও এত বেশি গণহারে হত্যার ঘটনা-সংবলিত কোনো বছরের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮টি গণহারে হত্যার ঘটনা ঘটে। তবে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটলেও এ ধরনের হামলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। চলতি বছর ২১১ জন মারা গেলেও ওই বছর ২২৪ জন প্রাণ হারান।

অধ্যাপক ডেনসলি বলেন, সমাজের ক্রোধ ও হতাশার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে হঠাৎ করে এ ধরনের ঘটনার বৃদ্ধি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, অপরাধের প্রবণতা ঢেউয়ের মতো করে একটার প্রভাবে আরেকটা ঘটতে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর সময় বন্দুকের মালিকানার অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গণহারে গুলির ঘটনা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সংস্কার আনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আইন-প্রণেতাদের প্রভাবিত করেনি। গত আগস্টে ডেটন, ওহাইয়ো ও টেক্সাসের এল পাসোতে প্রাণঘাতী হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকদের অর্থবহভাবে অতীত অনুসন্ধান করে দেখার বিষয়ে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে জরুরি আলোচনা হবে। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে থাকা প্রভাবশালী লবি গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী ওয়েনি লা পিয়েরের সঙ্গে ফোনালাপের পর ওই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।