যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা শুরু

শেয়ার বিজ ডেস্ক: তাইওয়ান উপকূলে চীনের সামরিক মহড়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যের (ফরমাল ট্রেড) বিষয়ে আলোচনা শুরু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ নিন্মকক্ষের স্পিকার নেন্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের কয়েক সপ্তাহ পর দেশটি এ ঘোষণা দেয়। এ বিষয়ে উভয় দেশ নতুন একটি উদ্যোগের আওতায় বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। স্থানীয়  সময় বুধবার এ সম্মতির কথা জানিয়ে দুই পক্ষই ‘অর্থনৈতিকভাবে অর্থবহ ফলাফল’ আসবে, এমন চুক্তিতে পৌঁছাতে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তার। খবর: রয়টার্স।

চীনের হুমকির মুখে স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন যে আরও জোরদার হচ্ছে, বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে ওয়াশিংটনের সম্মতিকে তার আরেকটি সংকেত হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে জো বাইডেন প্রশাসনের করা এশিয়াকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থেকে তাইওয়ানকে বাদ দেয়ার কয়েক দিন পর জুনে ওয়াশিংটন ও তাইপের ‘যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান ইনিশিয়েটিভ অন টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ট্রেড’ প্রকাশ্যে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও তাইপে দুই পক্ষই বাণিজ্য ‘আলোচনার শর্তাবলি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে’ এবং শরতের শুরুর দিকেই প্রথম পর্বের আলোচনা শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

আলোচনার বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়টির দেয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বাণিজ্য সহজীকরণ, ইতিবাচক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ চর্চা এবং বাণিজ্যে বৈষম্যমূলক বাধা অপসারণেরর মতো ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনায় শক্তিশালী একটি এজেন্ডা নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান।

‘উচ্চ মানের অঙ্গীকার এবং অর্থনৈতিকভাবে অর্থবহ ফলাফল’ পাওয়া যাবে এমন চুক্তিতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যেই আনুষ্ঠানিক এ আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে বলে বলা হয়েছে ঘোষণায়। তবে এ ঘোষণায় দুই পক্ষের মধ্যে বিস্তৃত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াশিংটনকে তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চাপ দিয়ে আসছে। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও স্বশাসিত দ্বীপটিকে নানা ক্ষেত্রে সহায়তা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও সামরিক চাপের মুখে স্বশাসিত দ্বীপটিতে সাহায্যের পরিমাণ বাড়াতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। তারই অংশ হিসেবে দুই পক্ষ এই আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে।