শেয়ার বিজ ডেস্ক: কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মাদ আল আতিয়াহ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টিম ম্যাটিসের সঙ্গে ১২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধের মধ্যে কাতার যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ যুদ্ধবিমান কিনতে চুক্তি করলো। বুধবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। খবর রয়টার্স, মিডল ইস্ট মনিটর।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনও বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, উপসাগরীয় দেশ কাতার তার ‘আর্টস দক্ষতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-১৫ ক্রয় করে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ম্যাটিস ও আতিয়া উভয়ই নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে আইএস জঙ্গি এবং চলমান উপসাগরীয় উদ্যোগ নিয়ে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ‘কাতারকে একঘরে করতে যখন সৌদি আরবসহ অন্য দেশেগুলো এক প্রকার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ঠিক এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান বিক্রি করে এক প্রকার আগুনে ঘি ঢেলে দিলো। অনেকে মনে করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ ধমন চায় না বরং অস্ত্র বিক্রিই তাদের উদ্দেশ্য।’
এর আগে কাতারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই জঙ্গিবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনেছিলেন। তবুও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস কাতারের প্রতিনিধের সঙ্গে বৈঠকে এ চুক্তি সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছে কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী ৩৬টি যুদ্ধবিমান পাবে কাতার। এর আগে নভেম্বরে কাতারকে ৭২টি এফ-১৫ কিউএ বিমান বিক্রি করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় ২১.১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে দুই দেশ।
এক টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এটা খুবই চমৎকার যে, সৌদি সফরে দেশটির রাজা ও অর্ধশত দেশের নেতাদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ফল এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছে। তারা বলেছে, উগ্রবাদী অর্থায়নের বিরুদ্ধে তারা কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে সবকটি সূত্র কাতারকেই নির্দেশ করে। সম্ভবত, এটা হবে সন্ত্রাসের বিদায়ের সূচনালগ্ন।
গত ৫ জুন সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় ছয়টি আরব দেশ। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। সৌদি আরব দেশটির স্থল সীমাও বন্ধ করে দেয়। দেশগুলোর পক্ষ থেকে কাতারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।