Print Date & Time : 23 September 2025 Tuesday 9:44 am

যুদ্ধবিরতির পর উত্তর গাজায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুদ্ধবিরতির পর উত্তর গাজায় তাদের বাড়িতে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। ফেরার পর দেখছেন, বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে তারা হেঁটে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে আক্রমণ করার পর যুদ্ধ শুরু হয়। খবর: আল জাজিরা।

মাহমুদ আয়ুব মধ্য গাজায় নুসেরত ত্রাণশিবিরে তার কম্বল ও পোশাক গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত ছিলেন। অন্য অনেক ফিলিস্তিনির মতো এই ৩৩ বছর বয়সি শ্রমিক তার পরিবারকে নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে এখানে থেকেছেন। তিনি বললেন, আমার এটা ভেবেই আনন্দ লাগছে যে, ১৬ মাস পর আবার আমি উত্তর গাজায় যেতে পারব। আয়ুব তার তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গাজা শহরের শেখ রাদোয়ানে ফেরার তোরজোড় করছিলেন। আশপাশের তাঁবুতেও একই প্রস্তুতি চলছিল। মানুষ তাঁবু গুটিয়ে সেগুলি ভাঁজ করে রাখছিলেন। কয়েকজন অবশ্য এখনো কয়েকদিন অপেক্ষা করে দেখতে চান, পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। যুদ্ধবিরতির ফলে তারা নিঃসন্দেহে আনন্দিত, কিন্তু তাদের উদ্বেগ এখনো যায়নি।
আয়ুব জানান, ‘উত্তর গাজায় আমার অনেক বন্ধুকে ফোন করে জানতে চেয়েছি, সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে। আমরা এখনো বুঝতে পারছি না, সেখানে গিয়ে থাকতে পারব কিনা।

তবে আমরা তারপরেও সেখানে যাব বলে ঠিক করেছি। যদি বাড়িতে থাকতে না পারি, তাহলে তার পাশে তাঁবুতে থাকব। স্বামী, স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তান তাই উত্তর গাজায় হেঁটেই ফিরবেন। তবে তারা একা নন, হাজার হাজার মানুষ এভাবেই ফিরছেন। তিনি জানান, সাগরের পাশ দিয়ে সাত কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে ফিরতে হবে। জানি না, বাচ্চাদের কাছে তা কতটা কঠিন হবে।
তাদের মতো অন্যরাও মনে করছেন, তাদের এই ঘরে ফেরাটা বেদনার হবে, তারা সবকিছু হারিয়েছেন। স্থানীয় এনডিও-র কর্মী তামের আল-ফারানি জানিয়েছেন, তার আশা, শেষপর্যন্ত তিনি মৃত আত্মীয়দের কবরস্থ করতে পারবেন। তাদের দেহ এখনো বোমার আঘাতে ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই রয়েছে। স্বামী ও চার বাচ্চার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জাবালিয়া শিবিরে ছিলেন। ফেরার প্রস্তুতির মধ্যেই তিনি ফোনে জানান, নেকবার তাদের শিবির বদলাতে হয়েছে। বাড়ি ছাড়ার দুই সপ্তাহ পর, আমরা জানতে পারি, পুরো বাড়ি ভেঙে পড়েছে।