শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় নথি ফাঁসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। এসব নথিতে মিত্রদের বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য, যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেনের দুর্বলতার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
ইতোমধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা বিচার বিভাগের কাছে নথি ফাঁসের বিষয়টির তদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে। ফাঁস হওয়া নথিগুলো টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিদিন এ নথিগুলো হালনাগাদ প্রতিবেদন আকারে তৈরি করা হচ্ছে। এগুলোয় মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট স্টাফের ইউক্রেন, চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ফাঁস হওয়া তথ্যের বিষয়ে বিশ্লেষকদের ধারণা-ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউক্রেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরাইলের ওপর গোয়েন্দাগিরি করে আসছে। বিষয়টি বাইডেনের প্রশাসনের জন্য বিব্রতকর।
কিছু নথিতে তথ্যগত বিভ্রাট রয়েছে। যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ পক্ষে হতাহতের সংখ্যাকে অনেক কম দেখানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ভুয়া নথি ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে সার্বিকভাবে মার্কিন নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্ষুণœ করার জন্য এগুলো তৈরি হয়েছে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে প্রচুর ‘কাল্পনিক তথ্য’ রয়েছে। এ ঘটনায় রুশদের মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রচারণার অংশ হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছে তারা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি গোপন নথিতে জানানো হয়, বর্তমান গতিতে যুদ্ধ এগোতে থাকলে আগামী মে মাসের মধ্যে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাবে।
অপর এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিতর্কিত বিচার বিভাগের সংস্কার উদ্যোগের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভকে উসকে দিয়েছে। গতকাল সোমবার এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অফিস গতকাল ফাঁস হওয়া তথ্যের বিষয়ে জানিয়েছে, এ নিয়ে তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে।
