তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কিত অ্যাপগুলোর মধ্যে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন বাড়ছে অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা মানুষের সঙ্গে ভয়েস কল কিংবা ভিডিও কল করে নিমেষেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় এ অ্যাপ ব্যবহারে মাধ্যমে।
তবে এ অ্যাপ ব্যবহারে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, সামান্য অসতর্ক হলেই নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
চলুন যেনে নেই এ অ্যাপটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো আপনাকে মনে রাখতে হবে….
*আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে যদি অনেক ইউজার রিপোর্ট করে বা অনেকে আপনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনে, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান করবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
*বিভিন্ন গ্রুপে ভুয়া এবং মিথ্যে খবর ছড়ালে নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
*বিভিন্ন থার্ড পার্টি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ যেমন হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টা, হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস, জিবিহোয়াটসঅ্যাপ, এসব ব্যবহার করলে চিরতরে নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। কারণ প্রাইভেসির স্বার্থে হোয়াটসঅ্যাপ তার ইউজারদের এইসব থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দেয় না।
*স্প্যাম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন না। লাগাতার এটা করলে সমস্যা হতে পারে। স্প্যাম হলো গ্রুপ তৈরি করে একবারে মেসেজ পাঠানোর প্রক্রিয়া।
*যে লিংক দেখে মনে সন্দেহ জাগবে সেই লিংক হোয়াটসঅ্যাপে ফরওয়ার্ড না করাই ভালো।
*কোনো ধরনের বেআইনি, আপত্তিকর, হুমকি বিষয়ক জিনিস হোয়াটসঅ্যাপে কাউকে পাঠাবেন না। এর ফলে আপনার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে পারে অন্য ইউজার।
*একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে যদি ইউজার একাধিকবার ব্যান হন তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ওই ইউজারের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করে দিতে পারে।
*অ্যানড্রয়েড ফোনে এ পি কে ফাইলের রূপে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করা যাবে না।