Print Date & Time : 12 September 2025 Friday 5:11 am

রডের কাঁচামাল আমদানি নিশ্চিতে উদ্যোগ নিন

ইস্পাত একটি অত্যাবশ্যকীয় নির্মাণ উপকরণ। দেশে বর্তমানে বছরে কয়েক লাখ টন রডের চাহিদা রয়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই এ পণ্যের জোগান নিশ্চিত করছে। কিন্তু রডের কাঁচামাল জোগাড় করতে গিয়ে এখন কারখানগুলোকে নানা ধরনের বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে ডলার সংকটের কারণে আমদানি সংকুচিত হওয়ায় এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে বলে এ খাতের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন। এতে করে পণ্যটির দাম বর্তমানে স্মরণকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে। এর ফলে নির্মাণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দৈনিক শেয়ার বিজে গতকাল ‘প্রতি টন রডের দাম লাখ টাকা!’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০২০ সালের শুরুর দিকেও দেশে প্রতিটন রডের দাম ছিল মাত্র ৫৮ হাজার টাকা। সেই রড বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকায়! মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে ৮০ শতাংশের বেশি। অথচ বর্তমানে রডের প্রধান কাঁচামাল পরিত্যক্ত জাহাজের দাম বিশ্ববাজারে অনেক কম। আন্তর্জাতিক বাজারে রডের প্রতিটন কাঁচামালের দাম দেশীয় মুদ্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে গত কয়েক মাস ধরেই এ খাতের ব্যবসায়ীরা আমদানির এলসি খুলতে পারছেন না। এতে করে কাঁচামালের সংকট তীব্র হচ্ছে। এ কারণে চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না ইস্পাত কারখানাগুলো। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক নির্মাণ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রডের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করি।

বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে বলা চলে। উন্নয়নের এই স্তরে ইস্পাতের ব্যবহার অনেক বেশি হয়। সে কারণে নতুন নতুন শিল্পকারখানাও প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু, বিমানবন্দর টার্মিনালসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা নির্মাণে বিপুল পরিমাণ দেশীয় রড ব্যবহƒত হয়েছে। ব্যাপক মাত্রায় উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় সেগুলোকে বিবেচনায় রেখে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ইস্পাত খাতে বিপুল বিনিয়োগও বাড়িয়েছেন। দেশে এ পণ্যের যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু কাঁচামাল সংকটের কা

রডের কাঁচামাল আমদানি নিশ্চিতে উদ্যোগ নিন

ইস্পাত একটি অত্যাবশ্যকীয় নির্মাণ উপকরণ। দেশে বর্তমানে বছরে কয়েক লাখ টন রডের চাহিদা রয়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই এ পণ্যের জোগান নিশ্চিত করছে। কিন্তু রডের কাঁচামাল জোগাড় করতে গিয়ে এখন কারখানগুলোকে নানা ধরনের বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে ডলার সংকটের কারণে আমদানি সংকুচিত হওয়ায় এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে বলে এ খাতের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন। এতে করে পণ্যটির দাম বর্তমানে স্মরণকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে। এর ফলে নির্মাণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দৈনিক শেয়ার বিজে গতকাল ‘প্রতি টন রডের দাম লাখ টাকা!’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০২০ সালের শুরুর দিকেও দেশে প্রতিটন রডের দাম ছিল মাত্র ৫৮ হাজার টাকা। সেই রড বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকায়! মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে ৮০ শতাংশের বেশি। অথচ বর্তমানে রডের প্রধান কাঁচামাল পরিত্যক্ত জাহাজের দাম বিশ্ববাজারে অনেক কম। আন্তর্জাতিক বাজারে রডের প্রতিটন কাঁচামালের দাম দেশীয় মুদ্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে গত কয়েক মাস ধরেই এ খাতের ব্যবসায়ীরা আমদানির এলসি খুলতে পারছেন না। এতে করে কাঁচামালের সংকট তীব্র হচ্ছে। এ কারণে চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না ইস্পাত কারখানাগুলো। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক নির্মাণ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রডের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করি।

বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে বলা চলে। উন্নয়নের এই স্তরে ইস্পাতের ব্যবহার অনেক বেশি হয়। সে কারণে নতুন নতুন শিল্পকারখানাও প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু, বিমানবন্দর টার্মিনালসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা নির্মাণে বিপুল পরিমাণ দেশীয় রড ব্যবহƒত হয়েছে। ব্যাপক মাত্রায় উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় সেগুলোকে বিবেচনায় রেখে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ইস্পাত খাতে বিপুল বিনিয়োগও বাড়িয়েছেন। দেশে এ পণ্যের যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু কাঁচামাল সংকটের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইস্পাত খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। কারখানা ঠিকমতো চালু না থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে ইস্পাত কারখানাগুলো কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করি। সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

রণে উৎপাদন কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইস্পাত খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। কারখানা ঠিকমতো চালু না থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে ইস্পাত কারখানাগুলো কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করি। সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।