রপ্তানিকারকদের ডলার ধরে রাখার সীমা আরও কমাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা জমা করার মাত্রা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, প্রচলিত ব্যবস্থায় প্রত্যাবসিত রপ্তানি আয়ের নির্দিষ্ট অংশ ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখা যায়। স্থানীয় মূল্য সংযোজনের মাত্রা অনুযায়ী রিটেনশন কোটার হার ১৫ শতাংশ কিংবা ৬০ শতাংশ হতে পারে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এই হার ৭০ শতাংশ। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যালান্স ৫০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ, ৬০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ থেকে যথাক্রমে ৭.৫০ শতাংশ, ৩০ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশে ওই সময়ে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল। যার মেয়াদ ছিল গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে আর কোনো নির্দেশনা দেয়নি। ফলে ক্যাপটি আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

তবে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবার সীমা ১৫ শতাংশ, ৬০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৭.৫ শতাংশ, ৩০ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

২০২২ সালের জুলাইয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, রপ্তানিকারকরা ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে তাদের জমা করা বিদেশি মুদ্রা খরচ না করে দীর্ঘদিন ধরে রাখেন। এতে এই মুদ্রার যথাযথ ব্যবহার হয় না; অযথাই ‘অলস’ অবস্থায় পড়ে থাকে। তাই ওই সময় ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে নির্দেশনাটি দিয়ে বাজারের তারল্য পরিস্থিতির ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে, তা যাচাই করা হয়। গত ডিসেম্বরের পর রেটটা আর নিয়মিত করা হয়নি। তাই জানুয়ারিতে আবার গাইডলাইনের নিয়মে ফিরে গেছে। ওই নিয়মেই ব্যাংকগুলো প্রত্যাবসন করেছে। এখন আবার রেট কমানো হয়েছে, যাতে ব্যাংকগুলোয় তারল্য পরিস্থিতি ভালো থাকে।