নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান হবে কিনা, সে বিষয়ে আগামী বুধবার (১০ আগস্ট) আদেশ দেবে হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে রমনা থানার ওসির সম্পদের বিষয়ে একটি গণমাধ্যমের সংবাদ নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি হাইকোর্টকে জানান, সরকারি এজেন্সির তথ্যমতে ওসি মনিরুল ইসলামের অজ্ঞাত অনেক সম্পদ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান করা দরকার। বিষয়টির সঙ্গে একমত হন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পরে বিষয়টিকে আবেদন আকারে আনতে বলে হাইকোর্ট।
গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) একটি গণমাধ্যমে, ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে সরকারি এজেন্সির বরাত দিয়ে বলা হয়, রমনা থানার ওসি মনিরুল আরও অনেক প্লট ও সম্পত্তির মালিক।
পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকূল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।
জানা যায়, ১৯৯২ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম, যখন এই পদটি তৃতীয় শ্রেণির ছিল। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হন। প্রায় ৩০ বছরের চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়।