রাজধানীর রাস্তায় ঈদের আমেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজানের ২৭তম দিন ছিল গতকাল বুধবার। ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী। প্রধান সড়কগুলোয় আগের মতো চিরচেনা যানজট নেই। অনেক সিগন্যালে নেই পুলিশ, যেখানে আছে সেখানে বসে সময় পার করছে। অপরদিকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথ গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান ও সদরঘাটে মানুষ ও গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি দেখা গেছে।

ট্রাফিক পুলিশ বলছে, বিকালে যানজট কিছুটা বাড়তে পারে। মানুষ শপিং করতে বের হবেন। যারা উত্তরবঙ্গ হয়ে উত্তরাঞ্চল এবং সদরঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাবেন, তারা বিকালে বের হবেন। সেই সময় রাস্তায় চাপ বাড়লেও জ্যাম হওয়ার শঙ্কা নেই।

রাজধানী ব্যস্ত সড়ক বিজয়সরণি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছিলেন শওকত আলী। তিনি বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চাপ নেই। আমাদের কোনো সিগন্যালে আটকাতে হচ্ছে না। রাস্তা ফাঁকা হওয়ায় চালকরা নিজেরাই সিগন্যালে থামছেন এবং যাচ্ছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর ঈদে এক বা দুই দিন আগে রাস্তা ফাঁকা হলেও এবার তিন-চার দিন আগেই ফাঁকা হয়ে গেছে।

ব্যস্ত আরেকটি সড়ক কারওয়ান বাজার মোড়। এ মোড়ে দায়িত্বপালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ মোড়ে সাধারণত সাতজন সদস্য ও দুজন সার্জেন্টের দায়িত্ব থাকলেও আজ দুজন আছি, তাও বসে আছি। রাস্তায় গাড়ির চাপ নেই বললেই চলে। বিকালে গাড়ির চাপ বাড়লেও আগের দিনের মতো জ্যাম হবে না।

এদিকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার প্রধান টার্মিনাল, সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালী, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী ও গুলিস্তানের রাস্তায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়ছে। বিকালে এ চাপ আরও বাড়তে পারে বলে ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী শনি বা রোববার (২২ বা ২৩ এপ্রিল) দেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। গতকাল বুধবার পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। সেই হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস খোলা থাকার কথা। কিন্তু ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার। মানুষ টানা পাঁচ দিন ছুটি পাওয়ায় ধীরে ধীরে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকাল ও বুধবার সকাল থেকে বাড়ি যাওয়ার চাপ বেড়েছে।