রাজধানীর রাস্তা এখনও ফাঁকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অফিস-আদালত খুললেও ঈদের ছুটির আমেজ এখনও রয়েছে। সড়কগুলোয় রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী চিরচেনা যানজট নেই। রাস্তাঘাট এখনও একেবারেই ফাঁকা। অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁও বন্ধ। যানজট তো নেই-ই, সড়কে গাড়ি ও মানুষের চলাচলও খুব কম। যেসব গন্তব্যে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়, সেসব স্থানে এখন যাওয়া যাচ্ছে কয়েক মিনিটেই। যানজটের নগরী ঢাকা যেন পুরোই অচেনা।

গতকাল মঙ্গলবার গুলিস্তান, পল্টন, সচিবালয়, কাকরাইল, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, শ্যামলী ও কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাংলামোটরে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী গোলাম রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাবনা থেকে আজ সকালেই ঢাকা এসেছি। ঢাকায় আসতে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগেছে। মহাসড়কে কোনো যানজট নেই, একেবারে ফাঁকা। আবার গাবতলী থেকে বাংলামোটর আসতে মাত্র ১০ মিনিট লেগেছে। অন্য সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে কেটে যেত।

তিনি বলেন, ঢাকার সড়কগুলো যদি সবসময় এমন ফাঁকা থাকত, তাহলে মানুষের হাজার হাজার কর্মঘণ্টা বেঁচে যেত।

ফার্মগেটে কথা হয় রিকশাচালক আবু মুসার সঙ্গে। তিনি বলেন, গত তিন দিন ঢাকার সড়কগুলো আমার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে না। একেবারেই ফাঁকা। মানুষের এখনও ঈদ শেষ হয়নি। তাই আমরা ফাঁকা রাস্তায় রিকশা চালাতে পারছি। তিনি ধারণা করে বলেন, শুক্রবার থেকে পুরোদমে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করবে। রোববার থেকে এই ফাঁকা সড়কে যানজট লেগে যাবে। শুধু রাজধানীর রাজপথ নয়, অলিগলিতেও ঈদের ছুটির আমেজ দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির ছোট মুদির দোকান ও চায়ের দোকানগুলোয়ও নেই চিরচেনা আড্ডা। ফাঁকা অলিগলিতে খুব কমসংখ্যক মানুষ জরুরি প্রয়োজনে বের হচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রবেশদ্বার গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও নেই গণপরিবহনের ভিড়। ঈদ উদ্যাপন করে জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ ঢাকায় ফিরছেন। অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে অনেক দূরপাল্লার বাসকে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে।