Print Date & Time : 15 September 2025 Monday 8:41 pm

রাজশাহীতে প্রতিকেজি মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা

প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহীতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি ও ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে মাংসের চাহিদা থাকায় হঠাৎ মুরগির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, বড় ব্রয়লার ১৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে এবং ছোট ব্রয়লার ১৭০ টাকা। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। সোনালী ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ২৫০ টাকা; লাল লেয়ার ২৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২১০ টাকা, দেশি মুরগি প্রায় ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আগে ছিল সাড়ে ৩০০ টাকা। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। সাহেববাজার মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি মুরগি বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সব ধরনের মুরগির দাম কম ছিল। তার কয়েকদিন পরেই আবার দাম বেড়েছে। মাঝখানে আবার দুই দিন দাম কমে গিয়ে একবারে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আরেক ব্যবসায়ী মিঠু জানান, নববর্ষ উপলক্ষে মুরগির দাম চড়া, যা দাম আছে এই দামেই চলবে। বাজারে মুরগির কিছুটা টান আছে। মানুষ নতুন বছরের শুরুতে পিকনিক করবে ফলে মুরগির দাম বাড়তিই আছে।

এদিকে বাজারের ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বলেন, শীতে ডিমের দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এবার তেমন বাড়ল না। বাজার থমকে আছে। প্রতি হালি (৪টি) লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। সাদা ডিম ৩০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৮ টাকা হালি দরে বিক্রি করছি।

পোলট্রি খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে মূলত বাচ্চা তুলছেন না খামারিরা। আগে খামারিরা লোকসান করেছে। মুরগি উৎপাদন না হওয়ার কারণেই মূলত দাম বেড়ে ৩০০ টাকা কেজি বলে মন্তব্য করেন আরেক ব্যবসায়ী ও খামারি।

মুরগির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রাজশাহী পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, মূলত দামের চাবিটা নাড়ায় হাতেগোনা কয়েকজন। গুটিকয়েক পোলট্রি কোম্পানির কারসজিতেই হুটহাট দাম চড়ে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোটবড় পোলট্রি শিল্প গড়ে উঠলেও রাজধানীর অদুরে টঙ্গী, বোর্ড বাজার, জয়দেবপুর ও গাজীপুর এলাকাকে ঘিরে দেশের সবচেয়ে বড় পোলট্রি শিল্প গড়ে উঠেছে। মূলত এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাজার।

তিনি আরও বলেন, ডিমের দাম আর বাড়বে না বলেই মনে হচ্ছে। খাদ্যের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা। কিন্তু ডিমের দাম সেভাবে বাড়েনি। বড় বড় কোম্পানিগুলো ডিম উৎপাদনে নেমেছে তাই প্রান্তিক খামারিদের দুঃখ ঘোঁচে না। আর খাদ্যের দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না।