রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে পেরেক তুললেন শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের গাছগুলো থেকে পেরেক, সাইনবোর্ড ও ব্যানার তুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তার আগে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে আহ্বান করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এগিয়ে আসেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের আই ট্রিপল-ই আরউএসবি, স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, রাবি সায়েন্স ক্লাব, রাবি গ্রিন ভয়েস, রোভার স্কাউট, ইংলিশ স্পিকিং ক্লাব, এসিসিই গ্রুপসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়।
রাবি গ্রিন ভয়েসের সভাপতি আশিকুর রহমান অন্তর বলেন, আমরা এর আগেও গাছ থেকে এগুলো অপসারণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু প্রশাসনের তেমন সাহায্য পাইনি। আমরা একাধিকবার ভিসি ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন তারা বলেছিলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানার আছে। এগুলো তোলা সম্ভব হবে না। বর্তমানে দেশ যেহেতু সংস্কারের পথে, তাই সেই সংস্কারের ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টার ডাকে ক্যাম্পাসের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মিলে এই কাজগুলো করছি। আমরা চেষ্টা করছি ক্যাম্পাসের সব গাছ থেকে এগুলো অপসারণ করার।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্পিকিং ক্লাবের এক সদস্য আতিক বলেন, ছাত্র উপদেষ্টার ডাকে আমরা এখানে এসেছি। বিভিন্ন ব্যানার সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে গাছের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। আমরা আশা করছি, সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একসঙ্গে কাজ করে ক্যাম্পাসের গাছগুলোয় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারব এবং ক্যাম্পাস আরও সুন্দর করে তুলব।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব স্যারের পরামর্শে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীরা অনেক দিন ধরে দাবি করে আসছিল ক্যাম্পাসের গাছগুলোয় বিভিন্ন রকম ব্যানার, সাইনবোর্ড ও পোস্টার পেরেক দিয়ে লাগানো আছে। যুগ যুগ ধরে এটা হয়ে আসছে। সেগুলো অপসারণের জন্য তারা বলেছিল। আমরা যা ধারণা করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশিগুণ পেরেক দেখতে পেয়েছি। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নানা গ্রুপে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে। একটি গাছ থেকে আমরা শতাধিক পেরেকও উদ্ধার করেছি।
তিনি আরও বলেন, গাছের ওপর এমন অমানবিক আচরণ আমরা আর দেখতে চাই না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন কাজ না করে, সেজন্য আমরা সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করব।