রাতের ভোটের জন্য হুদা কমিশন প্রশংসার দাবিদার: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনের ভোট রাতে করার মডেলের জন্য নুরুল হুদা সাহেব প্রশংসার দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুগ্রহভাজন হয় সেই চমৎকার মডেলটি গোটা বিশ্বে তিনি দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাহী বিভাগের প্রত্যেকটি কথা তিনি বাস্তবায়ন করেছেন।’

গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নাটক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন শীর্ষক’ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১।

রিজভী বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য যা কিছু করা দরকার সেই কাজটি নুরুল হুদা সাহেব করেছেন। সে জন্যই তাকে বেছে ওই জায়গাটি দেয়া হয়েছিল। সেটা তিনি করেছেন। সুতরাং বিদায় বেলায় তিনি যে বলেছেন, তার কোনো ব্যর্থতা নেই, সবকিছু নিরপেক্ষতার সঙ্গে করেছেন, সেটা তো তিনি প্রমাণই করেছেন। কীভাবে তিনি নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করে নিজের ভাগ্নেকে ভোট ভাগাভাগির নির্বাচনে এমপি বানিয়ে পুরস্কারও নিয়েছেন। সুতরাং হুদা সাহেবের কৃতি বলে শেষ করা যাবে না।’

নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পাওয়ার জন্য মিছিল করে যাচ্ছেÑউল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘এরা যদি নির্বাচন কমিশনে আসে সেই দেশের গণতন্ত্রের যে কী পরিণতি হবে, ভোটের যে কী পরিণতি হবে সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারি। এ সার্চ কমিটি হুদা কমিশনের চাইতেও বড় কোনো বেহুদা কমিশন বানানোর জন্যই সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ চেষ্টা চালানোর উদ্দেশ্যে হচ্ছে, জনগণকে শোষণ করে আরও অনেক টাকা লোপাট

হবে। আরও অনেক উপদেষ্টাদের টাকা যাবে বাংলাদেশ থেকে।’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘সাগর-রুনির হত্যাকারীদের সঙ্গে এ সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত বলেই হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হয় না। একটা খুনের হদিস করতে পারে না। তারা কীসের সরকার। এ সাগর-রুনির হত্যার জন্যই তো এ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত নেতাকর্মীকে কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এই যে একটা নির্যাতন এটা থেকে বাঁচতে ঝাঁক বেঁধে রাজপথে নামতে হবে। আন্দোলনের ডাক আসছে। কে দেখল বা কে দেখল না সেটা দেখার বিষয় নয়, একবারে ঝাঁক বেঁধে নেমে এ সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করে একটা স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।