রাশিয়ায় বিক্ষোভ গ্রেপ্তার ১৩০০

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে রাশিয়ায়। বিক্ষোভ থেকে ১ হাজারের বেশি রুশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়ার পুলিশ। খবর: বিবিসি।

এ সময় সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয় মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ শহর থেকে। রাশিয়ার হিউম্যান রাইটস গ্রুপ ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত বুধবার পুতিন জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ‘আংশিক সেনা সমাবেশ’ করার ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম রাশিয়া এ ধরনের সেনা সমাবেশ করতে যাচ্ছে। এই সেনা সমাবেশে তিন লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হবে বলে তিনি জানান। যুদ্ধের ফল নিজেদের পক্ষে আনতে আরও সেনা পাঠাতে চান তিনি। এ লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সেনাদের একটি অংশকে ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রাশিয়ার এ সেনা সমাবেশকে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিরাট অঞ্চলে মস্কো অনুগত নেতাদের ডাকা গণভোটের প্রতি সুস্পষ্ট সমর্থন জানালেন পুতিন। গণভোট ডাকার পরদিন তিনি রিজার্ভ সেনাদের ডাকার নির্দেশ দিলেন।

পুতিনের এ ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু করেন যুদ্ধবিরোধী রুশ নাগরিকরা। মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ ছাড়া বিক্ষোভ হয়েছে সাইবেরিয়ার ইরকুতস্ক শহর ও ইয়েকাতেরিনবার্গ মতো শহরগুলোয়।

ভাষণে ইউক্রেন ও এর পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড রক্ষায় সামর্থ্যে থাকা সব উপায় প্রয়োগ করব। প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্রও ব্যবহার করা হবে। পশ্চিমারা যদি ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল’ অব্যাহত রাখে, তাহলে মস্কো তার হাতে থাকা অস্ত্রের বিশাল মজুতের শক্তি দিয়েই জবাব দেবে। ভাষণে পুতিন জানিয়েছেন, তিনি রিজার্ভ বাহিনীর আংশিক সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়ে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন, আর তা

বুধবার থেকেই কার্যকর হবে। নতুন করে সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করেছে রাশিয়ার সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়। গতকালই এই বিক্ষোভকে অননুমোদিত আখ্যা দিয়ে ওই কার্যালয় থেকে বলা হয়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্ষোভে অংশ নিতে আহ্বান করা হলে এবং বিক্ষোভে অংশ নিলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।