রাশিয়ার নিশানায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির প্রধান বন্দরগুলো

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির প্রধান বন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে রাশিয়া। কিয়েভ বলছে, গত রোববার রাতভর বন্দরে তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন সংকট নিরসনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত এই হামলা চলে। খবর: টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইউক্রেনের ওদেসা অঞ্চলের দানিউব নদীর ওপর ইউক্রেনের ইজমেল বন্দরের বাসিন্দাদের গত সোমবার মধ্যরাতের পর নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির প্রধান দুটি বন্দরের একটি ইজমেল। দেশটির স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমও ওই এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দের খবর দিয়েছে।

তুরস্ক ও জাতিসংঘ ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে চায়, কারণ চুক্তিটি হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট বেশ কমেছিল। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সোচিতে ব্ল্যাক সি রিসোর্টে বৈঠক করার কথা রয়েছে পুতিন ও এরদোয়ানের। আঙ্কারা এই আলোচনাকে চুক্তির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে। চুক্তির এক বছরের মাথায় চলতি বছরের জুলাইয়ে এটি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া। মস্কোর ভাষ্য, চুক্তির ফলে নিজস্ব খাদ্য ও সার রপ্তানি বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। খাদ্যশস্য রপ্তানির এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষরিত হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফা বাড়ানো হয় এর মেয়াদ। এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান হামলা ও কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ করে রাখার জেরে বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই শস্য চুক্তি করে রাশিয়া।

ইউক্রেন যুদ্ধের ৫৫৮ দিন পেরিয়েছে। এই সময়ে ইউরোপের শস্যভাণ্ডার খ্যাত ইউক্রেনের শস্য উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে চুক্তি নবায়ন করা না হলে এবং বন্দরগুলোয় হামলা বন্ধ না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।