শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়ার কারাগারে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল সারাবিশ্ব। বিভিন্ন দেশে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সামনে গত শুক্রবার রাত থেকে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। খবর: বিবিসি।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সামনে নাভালনির প্রতিকৃতিতে ফুল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিক্ষোভকারীরা। বার্লিনে বিক্ষোভে অংশ নেন অন্তত ৬০০ মানুষ। তাদের বেশিরভাগ রাশিয়ান অভিবাসী। এ সময় তারা পুতিনবিরোধী সেøাগান দেন।
বিক্ষোভ হয়েছে রোম, আমস্টারডাম, বার্সেলোনা, জেনেভা, প্যারিস ও হেগে। এসব শহরে রুশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। নিউইয়র্কেও বিক্ষোভ করেন অনেক মানুষ।
এছাড়া রাশিয়ায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের বাইরেও বিক্ষোভ হয়। রাশিয়ার লন্ডন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন অন্তত ১০০ মানুষ। এ সময় পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন বিক্ষোভকারীরা। লিসবন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভকারীরা মৌন মিছিল করেন। নাভালনিকে স্বাধীনতা ও আশার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।
রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা পুতিনবিরোধী সেøাগান দেন। এসময় তারা পুতিনকে খুনি বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় অন্তত ১০০ জনকে আটক করে পুলিশ। নাভালনির মৃত্যুকে ঘিরে আগেই জনগণকে সমাবেশ না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল পুলিশ। এদিকে নাভালনির মৃত্যুর জন্য সরাসরি পুতিনকে দায়ী করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায় যুক্তরাজ্য।
প্রসঙ্গত, পুতিনের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি ২০২১ সাল থেকে রাশিয়ার কারাগারে আটক ছিলেন। প্যারোল লঙ্ঘন, জালিয়াতি ও আদালত অবমাননার দায়ে তখন তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত বছরের আগস্টে একটি চরমপন্থি সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও অর্থায়নের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি।