Print Date & Time : 12 September 2025 Friday 1:45 am

রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশি দামে তেল বিক্রির অভিযোগ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেশি দামে তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। মস্কোর কোষাগারে চাপ বাড়াতে দেশটির তেলের ওপর পশ্চিমারা সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দিলেও গত কয়েক দিন ধরে সেই দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খবর: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো তেলের দাম বেঁধে দেয়। তবে বর্তমানে উরাল মানের অপরিশোধিত তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ৬০ ডলার ছাড়িয়েছে। ফলে এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে অন্তত আংশিক সাফল্য পেয়েছে ক্রেমলিন।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) মতে, দাম বৃদ্ধির ফলে তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার রাজস্ব আয় বাড়বে। যদিও এক বছর আগের তুলনায় এই দাম গত মাসে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়ার ফলে চলতি বছরে তেল বিক্রি থেকে রাজস্ব আয় কমেছে রাশিয়ার, এতে দেশটির বাজেটে প্রভাব পড়ছে।

এছাড়া ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের সঙ্গে উরাল মানের রুশ তেলের মূল্যের পার্থক্য এখন ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলার। যদিও তা যুদ্ধের আগের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু জানুয়ারি থেকে এটি অর্ধেকে নেমে এসেছে, যা নিষেধাজ্ঞার চাপ কমার আরেকটি ইঙ্গিত।

এদিকে তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেকপ্লাসের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তটি রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম পশ্চিমাদের বেঁধে দেয়া দাম ছাড়িয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এশিয়ায় তেলের তীব্র চাহিদারও এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে।

পশ্চিমাদের এই নিষেধাজ্ঞার মূলে ছিল ইউরোপীয় নৌ-পরিবহন ও বিমা কোম্পানির ওপর রাশিয়ার নির্ভরশীলতা। তারা একে কাজে লাগিয়ে রাশিয়াকে চেপে ধরতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের বিশ্লেষক সের্গেই ভাকুলেঙ্কো।

তিনি বলেন, এটি ছিল একটি বিবর্তনমূলক প্রক্রিয়া। এখন আমরা এর ফল দেখছি। রাশিয়ার তেল কোম্পানিগুলো ব্যবসায় টিকে থাকতে ও অর্থ উপার্জনে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তেল রপ্তানির জন্য রাশিয়াকে এখনও পশ্চিমা জাহাজ ও বিমার সুবিধা নিতে হচ্ছে। রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ দাম আরও কমিয়ে রাশিয়ার ওপর আর্থিক চাপ তৈরি করা সম্ভব।

কেউ কেউ এই দাম ২০ থেকে ৩০ ডলারে কমিয়ে আনার পক্ষে মত দিচ্ছেন।