Print Date & Time : 27 August 2025 Wednesday 7:01 am

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি ১ জুলাই

শেয়ার বিজ ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংক্রান্ত রিভিউ শুনানিতে আবারও সময় চাইল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ রোববার (১৮ মে) সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হলেও, প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সময় প্রার্থনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনজীবী। আপিল বিভাগ শুনানি ১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি রাখেন। এর আগে ২৭ এপ্রিল শুরু হওয়া শুনানি আজ পর্যন্ত মুলতুবি ছিল।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন শেষে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার এটি সংশোধন করা হলেও, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিচার বিভাগের পদাধিকারীদের উপরে রাখা হয়-যা নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধ রয়েছে।

এমন বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। পরে ২০১১ সালে রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে, যেখানে হাইকোর্টের ৮ দফার কিছু অংশ সংশোধন করে তিনটি মূল নির্দেশনা দেয়া হয়।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল-
১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদা সম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।
৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।