Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 4:20 pm

রিজার্ভ নামল ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। গতকাল সোমবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে মার্চ-এপ্রিল মাসের দায় হিসেবে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে। এ অঙ্ক গত ৭ বছরে সর্বনি¤œ। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। গত রোববার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। খারাপ অবস্থার কারণে গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাকি দেশগুলো প্রতি দুই মাস অন্তর নিজেদের মধ্যকার দায় নিষ্পত্তি করে। গত মার্চে আকুতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির ১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ছিল ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন, মে-জুন  সময়ে ছিল ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন এবং জুলাই-আগস্টে ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে টাকা উঠে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এতে রিজার্ভ কমার পাশাপাশি টাকার তারল্যেও চাপ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থার উন্নয়নে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রিজার্ভের অর্থে বিদেশে বিভিন্ন বন্ড, মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগ; রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন; বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ কেনাবাবদ সোনালী ব্যাংককে ধার; পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে অর্থ দেয়া এবং শ্রীলঙ্কাকে অর্থ ধার দেয়া বাবদ মোট ৮২০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। আইএমএফ সব সময়ই বলে আসছে, এগুলো বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব রাখতে হবে। আইএমএফের মতে, এগুলো বাদ দিলে প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২ হাজার ১৭০ কোটি ডলারে।

অথচ আইএমএফের দেয়া শর্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ উন্নীত হওয়ার কথা ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে। আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রিজার্ভ ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারের নিচে থাকতে পারবে না।