Print Date & Time : 5 September 2025 Friday 10:51 pm

রিটার্ন দেননি ৫৪ লাখ করদাতা মানি লন্ডারিংয়ের ১৫ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা করেছে। এসব মামলায় জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বন্ডের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং-সংক্রান্ত অভিযোগের বিপরীতে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা করেছে, যার সঙ্গে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মানি লন্ডারিং আইন অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএফআইইউ থেকে পাওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাগুলো গত পাঁচ অর্থবছরে (২০১৭-২০২২) ১২১টি মানি লন্ডারিং মামলা করেছে। একই সময়ে সন্দেহজনক লেনদেন ২৪ হাজার ৯৭৭টি। আর মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় এক হাজার দুটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পাঠানো হয়।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি মাসের ৬ জুন পর্যন্ত বর্তমানে দেশে ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতা ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৬ জন।

সরকার করদাতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। সেগুলো হলোÑজরিপের মাধ্যমে নতুন করদাতা শনাক্তকরণ, এক পাতার রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজীকরণ, তাৎক্ষণিক হিসাব নিরূপণ, অনলাইন ই-রিটার্ন দাখিল, আয়কর দেয়া সহজীকরণ; যেমন অনলাইনে আয়কর দেয়ার জন্য চালান, রকেট, নগদ, বিকাশ ও সোনালী ব্যাংক ই-পেমেন্টের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ ব্যবস্থা চালু এবং করদাতাদের সম্মাননা দেয়া।

রিটার্ন জমা দেননি ৫৪ লাখ করদাতা

বগুড়া-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দেশের ৫৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেননি।

কাক্সিক্ষত হারে আয়কর রিটার্ন না পাওয়ার কারণ হিসাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়কর অনুবিভাগে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব থাকায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আয়কর অফিস না থাকায় এবং বিদ্যমান আয়কর আইন ও ই-টিআইএন নিবন্ধন সিস্টেমে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় করদাতাদের তথ্য পৃথকভাবে সংরক্ষণের সুযোগ নেই। তাই প্রকৃত রিটার্ন দাখিল করার যোগ্য করদাতার সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের পনির উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধার্থে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।