Print Date & Time : 11 August 2025 Monday 8:43 pm

রিয়েল-টাইম ডেটাভিত্তিক সিস্টেমে জনস্বাস্থ্য নীতি শক্তিশালী হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটি উদ্ভাবনীয় সংক্রামক রোগ নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সুযোগ অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। একটি উচ্চ-পর্যায়ের ভার্চুয়াল ইভেন্টে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাপ্ত ডেটা এবং প্রযুক্তিকে কাস্টমাইজড করে একটি শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য নীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা। করোনাভাইরাস আমাদের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা, বৈষম্য এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অগ্রগতি স্থবির করে দেয়া বিষয়গুলো সামনে নিয়ে এসেছে বলেও আলোকপাত করেন তারা।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে তৈরি জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামের (ইউনাইটেড নেশনস হাই-লেভেল পলিটিকেল ফোরাম অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট-এইচএলপিএফ ২০২১) সাইড ইভেন্টের অংশ হিসেবে ‘স্ট্রেনথিং গভার্মেন্ট ডেটা-ফর-রিকভারি ক্যাপাসিটি উইথ এ ফোকাস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক এক অনলাইন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব (জ্যেষ্ঠ সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গায়ানা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ফ্র্যাঙ্ক সিএস অ্যান্থনি, পেরু সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. অস্কার উগারতে উবিলাজ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে এরই মধ্যে ডাটা মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তেল যেমন ইঞ্জিন এবং মোটরযান চালতে সহায়তা করে তেমনি ডেটা বর্তমান বিশ্বকে চালাচ্ছে। বিশ্লেষকরা পর্যাপ্ত ডেটা পেলে তা বিশ্লেষণ করে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কৌশল প্রণয়ন এবং কভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারকে প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে ডেটার ব্যবহার করতে হবে। আসুন, এই মহামারি থেকে টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রশাসনকে শক্তিশালী করতে ডেটার কার্যকর ব্যবহারের পদক্ষেপ নেই।’

জুয়েনা আজিজ বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে বেশকিছু সম্মিলিত ডেটা সিস্টেমের ধারণা এবং সেগুলো কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ফোরামের আজকের আলোচনায় কভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন পুরোদমে শুরু করতে ডেটা ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম প্রয়োগবিষয়ক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন প্রভাবশালী দাতা গোষ্ঠী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের নীতিনির্ধারকদের বিজ্ঞ অভিমত দেশের সরকারকে কভিড-১৯ মোকাবিলায় ডেটা ব্যবহারে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে পৃথক দুটি প্যানেল আলোচনায় ইয়েল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মোবারক, ইউএনওএসএসসির ডেপুটি ডিরেক্টর ফর প্রোগ্রাম ও অপারেশনস সাওজুন গ্রেস ওয়াং, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেটা, এনালিটিক্স অ্যান্ড ডেলিভারি ফর ইমপ্যাক্ট ডা. সামিরা আসমা, আধার অ্যান্ড ইন্ডিয়া স্ট্যাকের চিফ আর্কিটেক্ট ডা. প্রমোদ ভার্মা, ভাইটাল স্ট্রেটেজিসসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. ফিলিপ সেটেল, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড মেন্টাল হাইজনের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার ও সিটি রেজিস্ট্রার ডা. গ্রেচেন ভ্যান ওয়ে এবং কেনিয়া সরকারের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের রেজিস্ট্রার-জেনারেল জানেট মাচেরু অংশ নেন।