রেকর্ড জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সিরিজের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ১৮৩ রানে জয়ের কীর্তি গড়েছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে দলীয় রেকর্ড রান (৩৪৯) রান করলেও বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। তৃতীয় ম্যাচে আইরিশদের উড়িয়ে প্রথমবার ১০ উইকেটের জয় পেল বাংলাদেশ দল।

ওয়ানডেতে এর আগে উইকেটের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ৯ উইকেটের। পাঁচবার প্রতিপক্ষকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজের ২-০তে জিতল তামিমের দল।

১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। দুই ওপেনার তামিম ও লিটন অবিচ্ছিন্ন থাকেন। লিটন ৩৮ বলে ১০ চারে অপরাজিত ৫০ রান করেন। তামিম ৪১ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪১ রান করেন।

এর আগে টস হেরে বল করতে নেমে সিলেটে স্বপ্নের দিন কাটিয়েছেন বাংলাদেশ পেসাররা। প্রথমবারের মতো কোনো ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট গেছে বাংলাদেশের পেসারদের ভাগে। এর আগে ইনিংসে পেসারদের নেয়া সর্বোচ্চ উইকেট ছিল ৮টি। টাইগার পেসারদের তোপে ২৮.১ ওভারে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা।

সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন কার্টুস ক্যাম্পার। ৪৮ বলে ৪ চারে সাজান নিজের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ বলে ২৮ রান করেছেন লরকান টাকার। দলটির আর কেউ দুই অঙ্কের স্কোরও গড়তে পারেননি।

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেয়া বাংলাদেশের নবম পেসার তিনি। সর্বশেষ গত বছরের ২৩ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। শেষ ম্যাচে তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ৩টি, এবাদত হোসেন ২টি। বোলিং করেননি সাকিব, দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে করেছেন ৪ ওভার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর- আয়ারল্যান্ড: ২৮.১ ওভারে ১০১ (ডোহেনি ৮, স্টার্লিং ৭, বালবার্নি ৬, টেক্টর ০, টাকার ২৮, ক্যাম্পার ৩৬, ডকরেল ০, ম্যাকব্রাইন ১, অ্যাডায়ার ৩, হিউম ৩, হামফ্রেজ ৮*; হাসান ৮.১-১-৩২-৫, তাসকিন ১০-১-২৬-৩, ইবাদত ৬-০-২৯-২, নাসুম ৩-০-১১-০, মিরাজ ১-০-৩-০)

বাংলাদেশ: ১৩.১ ওভারে ১০২/০ (তামিম ৪১*, লিটন ৫০*; অ্যাডায়ার ৩-০-২৯-০, হিউম ৩-০-১৫-০, হামফ্রেজ ৪-০-৩৬-০, ক্যাম্পার ৩.১-১-২১-০)

ম্যাচসেরা: হাসান মাহমুদ। ফল: বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী