Print Date & Time : 8 August 2025 Friday 6:25 pm

রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন ইইউ’র

শেয়ার বিজ ডেস্ক : শর্তসাপেক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। বিশদ পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার পর শুক্রবার এটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। দেশগুলোতে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদনকৃত প্রথম থেরাপি এটি। খবর: রয়টার্স।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো অনুমোদিত ওষুধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কার্যকর ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথও বেশ কয়েকটি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এরই একটি হলো রেমডেসিভির। গিলিয়াড সায়েন্সেসের  তৈরি এ ওষুধটি অতীতে ইবোলার বিরুদ্ধে পরীক্ষা করা হলেও এতে সফলতা এসেছিল খুবই কম। তবে করোনা-আক্রান্তদের শরীরে রেমডেসিভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে গিলিয়াড সায়েন্স দাবি করে, এ ওষুধ প্রয়োগের পর আক্রান্তদের সেরে উঠতে সময় কম লাগছে। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, রেমডেসিভির ওষুধটির সম্ভাবনা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে করোনা রোগীদের রেমডেসিভির প্রদানের অনুমতি দেওয়া আছে। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার সে তালিকায় যোগ দিল ইইউ।

অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২ বছরের বেশি বয়সি কিংবা যাদের ওজন ৪০ কিলোগ্রামের বেশি তাদের কভিড-১৯ চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যাবে। এর আগে গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানায়, এ ওষুধটি নিউমোনিয়ায় ভোগা ও অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা ১২ বছরের বেশি বয়সি করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান গিলিয়াডের তৈরি এ ওষুধটি ট্রাম্প প্রশাসন এত বেশি পরিমাণে কিনেছে যে, আগামী তিন মাসের জন্য এর আর কোনো স্টক অবশিষ্ট  নেই। ফলে এ সময়ের মধ্যে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর আর এ ওষুধ কেনার সুযোগ থাকছে না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত ইউরোপীয়  দেশগুলোর জন্যও না।

এ ব্যাপারে ইইউ হেলথ কমিশনার স্টেলা কাইরিয়াকাইডস বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখব না।’