নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশজুড়ে যে বর্ষণ চলছে, তা আরও ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর বুধবার থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর মোটামুটি সারাদেশেই বিরাজ করছে; এর ফলে মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। এ সময়ে ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭১ মিলিমিটার।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রোববার নেত্রকোনা ও সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর অফিসগামী মানুষ। মিরপুরের কালশীতে সকাল থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের।
ভারী বৃষ্টির ফলে তাদের অনেকেই ভিজে যান, কেউ কেউ আশ্রয় নেন ফ্লাইওভারের নিচে।
কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাহিরা জান্নাত। তিনি সেখানকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
তাহিরা বলেন, ‘ছাতায় মানছে না এমন বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় অর্ধেক ভিজে গেলাম। তার মধ্যে গাড়ি পাচ্ছি না। কখন গাড়ি পাব, কখন অফিসে যাব বুঝতেছি না। সিএনজিও পাচ্ছি না। এভাবে ভিজে তো ঠান্ডা লেগে যাবে।’
এ সময় এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা না গেলেও মিরপুরের কালশী থেকে মহাখালীর আমতলী পর্যন্ত বেশ জনজট ছিল।
গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়; যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেয়া হয় রেমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এর প্রভাবে রোববার বিকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। পরদিন সকাল থেকে সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে দুর্বল হয়ে আসে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল।