লভ্যাংশে ব্যতিক্রম প্রাণ-আরএফএল

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য-আনুসঙ্গিক খাতের কোম্পানি এএমসিএল প্রাণ তালিকাভুক্তির পর থেকে বিনিয়োগকারীদের কখনো হতাশ করেনি। টানা ১১ বছর ধরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। কোম্পানিটির লভ্যাংশে নেই কোন বোনাস শেয়ার।

এএমসিএল প্রাণের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির গত ১১ বছরের আর্থিক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর‌যন্ত কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগকারীদের ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। বিগত ১১ বছরে কোম্পানিটির মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৩৫২ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি কোন বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করেনি।

গত বছরের ৩০জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফাতেও রয়েছে উস্ফলন। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৫১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৪২ পয়সা।

এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি বর্তমানে পুঁজিবাজারে ২০৭ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির মোট রিজার্ভের পরিমাণ ৬০ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

প্রাণের পুঁজিবাজারে ৮০ কোটি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪০.১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮.১৪ শতাংশ, ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১.৭১ শতাংশ শেয়ার আছে।