শেয়ার বিজ ডেস্ক : লাদাখে সৃষ্ট সংকট নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলে চীন এতে সম্মতি দিয়েছে। আগামী ৬ জুন দুই দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খবর: এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
লাদাখে চীনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ লুকোচুরির পর গত মঙ্গলবার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বীকার করেছেন, চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) বিপুলসংখ্যক সদস্য চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) পেরিয়েছে। তার এ স্বীকারোক্তির পরই আলোচনায় বসার এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
দুই দেশই পূর্ব লাদাখে অতিরিক্ত বাহিনী, সামরিক যান ও প্রচুর অস্ত্রসম্ভার পাঠিয়েছে। এরই মধ্যে গত ৫ মে সন্ধ্যায় প্রায় ২৫০ ভারতীয় ও চীনা সেনা সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। পরে গত ৯ মে উত্তর সিকিমেও একই রকম ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন ধরেই লাদাখ সীমান্তে সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে উভয় দেশ।
প্রথমে দিল্লির তরফ থেকে বেইজিংয়ের কাছে আলোচনার অনুরোধ জানানো হয়। এতে চীন সম্মতি দিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী ভারতের অন্তর্গত চুশুল-মোলদো এলাকায় এ বৈঠক হবে। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। দুই দেশ যে আলোচনার টেবিলে বসতে সম্মত হয়েছে, তা ইতিবাচক লক্ষণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে লাদাখ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার স্থানীয় স্তরে কথা হয়েছে। তবে কোনো বৈঠকেই ফলপ্রসূ কিছু উঠে আসেনি। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে এত গুরুতর সংঘাতমূলক পরিস্থিতি এর আগে দেখা যায়নি।
২০১৭ সালে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল ভারত ও চীনের মধ্যে। ডোকলামে ত্রিদেশীয় সীমান্তে এমন সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের বাহিনী। ওই সময় কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে বিতর্কের অবসান ঘটেছিল। দিল্লির প্রত্যাশা এবারও সেই পথেই সংকট উত্তরণ ঘটতে পারে।
এদিকে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের এক সরকারি বিবৃতিতে এ ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।