প্রতিনিধি, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম চর খাটামারী। একসময় গ্রামটির মামা-ভাগনে মোড়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলত রতনাই নদী। কিন্তু কালের গর্ভে নদীর সেই বহমান জলরাশির দেখা না মিললেও বর্ষাকালে মৃতপ্রায় নদীর নবযৌবন আর বানের পানিতে টইটুম্বুর হয়ে ওঠে সেই এলাকা।
আর তখন যাতায়াতের ভোগান্তিতে পরে একসময়কার রতনাই নদীর পলি জমে গড়ে ওঠা উঁচু জমিতে বসবাস করা প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার। একই সঙ্গে পানির নিচে তলিয়ে যায় কয়েকশ একর চাষের জমি। আর তাই আসন্ন বর্ষায় নিজেদের চলাচলের ভোগান্তি কমাতে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ করছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই এলাকার স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি প্রায় ১২ বছর আগে ভেঙে যায়। তার পর থেকে বেশ কয়েকবার এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কাজ হয়নি। নিরুপায় হয়ে পাঁচ দিন আগে এলাকাবাসী নিজেরাই রাস্তা নির্মাণকাজে হাত দিয়েছেন। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই রাস্তা নির্মাণকাজ।
এ বিষয়ে কথা হয় চরখাটামারীর নূরনবী ও দুলাল মিয়ার সঙ্গে। তারা বলেন, আমরা দুর্ভাগা এলাকার মানুষ। মেম্বার-চেয়াম্যানের সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, হাতের কাজ শেষ হলে করে দেয়া হবে। তারা নজর না দেয়ায় এলাকার লোকজনসহ কাজে হাত দিয়েছি।
মফিজুল ইসলাম বলেন, হামরা কি মানুষ নোমাই। একটু যদি দয়া করি দেখি গেল হয়। হামার রাস্তাটা করি দেলে হয়।
ইউপি সদস্য সোলায়মান আলী বলেন, আমাকে তারা মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তাদের সময় দিয়েছি। ৪০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করে দেব। ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিকরা অন্য জায়গায় কাজ করছে। কাজ হলে এখানে কাজ করাব।
ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, এলাকাবাসী নিজেরা কাজ করছেন, এটা জানা নেই। স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ কেন! আমার শ্রমিক আছে। এলাকাবাসী আমাকে জানালে কাজ করে দেব।