Print Date & Time : 9 August 2025 Saturday 10:28 pm

লিথুনিয়ায় বাণিজ্য বন্ধ করল চীন


শেয়ার বিজ ডেস্ক
: তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জেরে বাল্টিক রাষ্ট্র লিথুনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করল চীন। ফলে তিন মিলিয়নের কম জনসংখ্যার দেশ লিথুনিয়ার এখন তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা ছাড়া উপায় দেখছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এদিকে লিথুনিয়ায় অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য চীনের বাণিজ্য বন্ধ করা পুরো ইউরোপের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন অনেকেই। খবর: গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি লিথুনিয়া ও তাইওয়ান উভয় সরকার পারস্পরিক পরামর্শদাতা কর্মক্ষেত্র স্থাপনে সম্মত হয়েছে। যদিও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেইজিং লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে। আর লিথুনিয়াকে বেইজিং থেকে বহিষ্কার করে।
জানা গেছে, লিথুনিয়ায় রেল প্রকল্প, কৃষি-পশুপালন ও কাঠ শিল্পে বাণিজ্য স্থগিত করেছে বেইজিং।
এ বিষয়ে লিথুনিয়ার রাষ্ট্রীয় খাদ্য ও পশু চিকিৎসাবিষয়ক পরিচালক মন্টাস স্টাসকভিসিয়াস বলেন, চীনের সঙ্গে কিছু গেজেট রপ্তানির অনুমতি নিয়ে আলাচনা কঠিন হয়ে আছে। এ কারণে যে বছরের শুরু হওয়া সত্ত্বেও কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই তারা এখন নিরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যুক্ত দেশ অস্ট্রেলিয়াকেও চীন সতর্ক করে দিয়েছে যে লিথুনিয়া বা তাইওয়ানের সঙ্গে যেন সম্পর্কে না জড়ায়। অস্ট্রেলিয়া থেকে লিথুনিয়া কয়লা, পানীয় ও মাংস আমদানি করে থাকে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনের একরোখা মনোভাবে জন্য বৈশ্বিক বাণিজ্য সমস্যায় পড়তে হবে।
এদিকে তাইওয়ান বলছে, তারা লিথুনিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। বরং কভিডের টিকা প্রদান করতে লিথুনিয়ার সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র।
এর আগে গত মে থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনে উইঘুরে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন চীন ইউরোপের ‘টিট ফর ট্যাট গেম’ খেলছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন দেখার বিষয় লিথুনিয়ার পক্ষে ইইউ কীভাবে দাঁড়ায়।
এদিকে লিথুনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রতিবাদে চীনের গণমাধ্যমগুলো শি জিনপিং সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন লিথুনিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে। আর লিথুনিয়া সরকারে পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কূটনৈতিক নয় বরং বন্ধুত্বের। আর চীনের বিরোধটি তারা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সমঝোতার চায় লিথুনিয়া।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক যোগাযোগ রক্ষা করতে চায় চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের এক মন্তব্যর পর গতকাল চীনের পক্ষ থেকে বলা হয় চীন তার স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করবে। কমলা হ্যারিস এশিয়া সফরে এসে দক্ষিণ এশিয়ার অশান্তির জন্য চীনকে দায়ী করেন।