লিবিয়ায় মরুভূমি থেকে ২০ মরদেহ উদ্ধার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: লিবিয়ার মরুভূমিতে ১৮ অভিবাসন প্রত্যাশীসহ ২০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার তাদের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। খবর: আফ্রিকা নিউজ।

লিবিয়ার মরুভূমিতে তারা হারিয়ে গিয়েছিলেন। উদ্ধারকারীদের ধারণা, মরুভূমিতে তৃষ্ণার কারণে তারা মারা গেছেন। মরুভূমির মধ্য দিয়ে ভ্রমণকারী একজন ট্রাক ড্রাইভার গত মঙ্গলবার মরদেহগুলো দেখতে পান। পরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থলটি কুফরা জেলা থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার (১৯৮ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চাদের সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার (৭৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।

কুফরা অ্যাম্বুলেন্সের প্রধান ইব্রাহিম বেলহাসান বুধবার বলেন, চালক হারিয়ে গিয়েছিলেন … এবং আমরা মনে করি, গত ১৩ জুন মোবাইল ফোনে শেষ কলের পর অর্থাৎ প্রায় ১৪ দিন আগে দলটি মরুভূমিতে মারা গেছে।

লিবিয়ার কম জনবহুল এই অঞ্চলে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা নিয়মিত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ফারেনহাইট) ওপর ওঠে। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে একটি পিকআপ ট্রাকের কাছে মরুভূমির বালিতে পচনশীল মরদেহগুলো দেখা যায়।

বেলহাসান বলেন, মৃতদেহগুলোর মধ্যে দুই জন লিবিয়ান এবং অন্যরা চাদ থেকে লিবিয়ায় আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। এরপর থেকে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে যুদ্ধ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে লিবিয়া। মূলত উন্নতজীবনের আশায় মরুভূমি ও ভূমধ্যসাগরজুড়ে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে তারা। সাহারা মরুভূমিসহ বিপজ্জনক এই রুট পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে মারা যান।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথে অসংখ্য নৌকা দুর্ঘটনা ও জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত দেড় হাজার শরণার্থী ডুবে গেছেন।