লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি শিশুসহ নিহত ২২

June 7, 2014 - Mediterranean Sea / Italy: Refugees rescued off a boat and carried onto an Italian navy ship on a mission to seek asylum seekers fleeing Africa and the Middle east through Libya. More than 2,000 migrants jammed in 25 boats arrived in Italy June 12, ending an international operation to rescue asylum seekers traveling from Libya. They were taken to three Italian ports and likely to be transferred to refugee centers inland. Hundreds of women and dozens of babies, were rescued by the frigate FREMM Bergamini as part of the Italian navy's "Mare Nostrum" operation, launched last year after two boats sank and more than 400 drowned. Favorable weather is encouraging thousands of migrants from Syria, Eritrea and other sub-Saharan countries to arrive on the Italian coast in the coming days. Cost of passage is in the 2,500 Euros range for Africans and 3,500 for Middle Easterners, per person. Over 50,000 migrants have landed Italy in 2014. Many thousands are in Libya waiting to make the crossing. (Massimo Sestini/Polaris)

শেয়ার বিজ ডেস্ক:লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে তিন শিশুসহ মালির ২২ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ ও মালি সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।

মৃত ব্যক্তিরা ৮৩ জনের একটি গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মালির নাগরিক। তাদের বহনকারী নৌকাটি গত ২২ জুন আটকে পড়ে। গত মঙ্গলবার মালির পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, লিবিয়ার কোস্টগার্ডের সহায়তায় ৬১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ দিন সাগরে আটকে থাকার পর গত শনিবার তাদের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আইওএম মুখপাত্র সাফা মাসেলি জানান, ২২ জনের মৃত্যুর কারণ ডুবে যাওয়া ও পানিশূন্যতা বলে জানিয়েছেন বেঁচে আসা ব্যক্তিরা। মাসেলি আরও জানান, বেঁচে আসা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য খুব দুর্বল। তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছে আইওএম। তিনি বলেন, বাকি অভিবাসীদের লিবিয়ার আল-মায়া আটক কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে উদ্ভূত ক্ষুধা সংকট, দারিদ্র্য, সংঘাত ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা বাড়তে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। এরই মধ্যে সবশেষ বিপর্যয়ের ঘটনাটি সামনে এসেছে। যুদ্ধের পাশাপাশি বিশ্লেষকরা কভিড-১৯ মহামারির প্রভাবকেও একটি চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী স্পেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতির মাত্রা বাড়তে পারে। আর এতে সাহিল ও আফ্রিকার সাব-সাহারা এলাকা থেকে অভিবাসন সংকট তৈরি হতে পারে।

গত সপ্তাহে প্রায় দুই হাজার মানুষ উত্তর আফ্রিকায় স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশের চেষ্টা করলে ২৩ জনের মৃত্যু হয়। মরক্কো ও স্পেনের মানবাধিকার গ্রুপগুলো এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, সেøাভাকিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল ও মলডোভায় শরণার্থীদের ভিড় বেড়েছে।