লেনদেনের ৪৯ শতাংশ চার খাতের

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দর সংশোধন হলেও গতকাল আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সকালের দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কিছুটা হ্রাস পেলেও দিন শেষে ঊর্ধ্বমুখী থাকে সূচক।  লেনদেন শেষে ১৫ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয় সাত হাজার ২১৮ পয়েন্ট। একই সঙ্গে বাড়ে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বাড়ে ১৮৯টির। পক্ষান্তরে দর হ্রাস পায় ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।

এদিকে গতকাল বাজারচিত্র ছিল আগের চেয়ে একবারে উল্টো অবস্থানে। আগের কার্যদিবসে বেশিরভাগ শেয়ার ও ইউনিটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি ছিল। কিন্তু কাল সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যাই ছিল বেশি। এ কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বাড়ে।

অন্যদিকে গতকালের মোট লেনদেনের মধ্য ৪৯ শতাংশই ছিল চার খাতের অবদান। এগুলো হচ্ছেÑবস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন, বিমা এবং প্রকৌশল খাত। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল বিমা খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে প্রায় ১৫ শতাংশ অবদান রাখতে সমর্থ হয়। পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত, যা মোট লেনদেনে অবদান রাখে ১২ শতাংশের বেশি। একইভাবে মোট লেনদেনে প্রকৌশল খাতের ১১ শতাংশ ও বস্ত্র খাত মোট লেনদেনে ১১ শতাংশ অবদান রাখে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৪০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ৩৫ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয় মোট ৩৯টি কোম্পানি। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৭০ লাখ ১৫ হাজার ২০৪টি শেয়ার ৮৭ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৩৫ কোটি ৪০ লাখ এক হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এ সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ছয় কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুনের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ৭২ লাখ ১৩ হাজার টাকা বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৬২ লাখ আট হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের।