টানা চার দিন পতনে পুঁজিবাজার

লেনদেনে শীর্ষ বিমা খাতে পতন বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল মঙ্গলবার সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এদিন লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে পতনেও কেনার চাপ ও আগ্রহ বেশি থাকায় বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পাট খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদিকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ থাকায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে শীর্ষে থাকলেও বিমা খাতের শেয়ারদর কমেছে। এদিন শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বিমা খাতেরই কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম গতকাল বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের তিনটির দাম বেড়েছে এবং দুটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। এদিকে গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক, সেবা ও আবাসন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বস্ত্র এবং আর্থিক খাতের শেয়ারদর হ্রাস বা বৃদ্ধির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গতকাল শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে বিমা খাতে। এ খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে আইটি খাত দ্বিতীয় স্থানে ছিল। শেয়ারদর কমার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট খাত। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩২ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বস্ত্র খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৭টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৬০ কোটি ৯৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

এদিন দাম বেড়েছে ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ১২১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৮টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬২ পয়েন্টে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ৭৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ১০ কোটি ২৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৭২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল আট কোটি ৬৭ লাখ দুই হাজার ৮৯ টাকার শেয়ার।