Print Date & Time : 7 July 2025 Monday 5:06 am

লেনদেন ৪৫০ কোটি টাকার ঘরে পতনেও তিন খাতে ক্রয়চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। লেনদেন নেমে এসেছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে। এদিন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে পতনেও তিন খাতে ক্রয়চাপে শেয়ারদর কিছুটা বেড়েছে। এদিন বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ট্যানারি খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এদিকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ থাকায় আইটি খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা ট্যানারি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের তিনটির দাম বেড়েছে এবং দুটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাট খাতে শেয়ারদর বেড়েছে  শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে একটির দাম বেড়েছে এবং দুটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য খাতের শেয়ার। এ খাতে লেনদেন হওয়া ২১টি কোম্পানির মধ্যে আটটির শেয়ারদর বেড়েছে, পাঁচটির দর কমেছে এবং সাতটির অপরিবর্তিত ছিল। এদিকে গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, বিবিধ এবং আর্থিক খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গতকাল শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে আইটি খাতে। এ খাতে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে একটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং দুটির অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমে কাগজ ও মুদ্রণ খাত দ্বিতীয় স্থানে ছিল। শেয়ারদর কমার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। খাতটিতে ১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য খাতে। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০১ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৪৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৯৭ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৬টির এবং কমেছে ৮৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮৭টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে পাঁচ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ৩৭টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৭টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯৮ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। সিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৬৮ দশমিক ২৫ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৪৯ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক নামমাত্র বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৫১ পয়েন্টে।