শেয়ার বিজ ডেস্ক : সংকটে জর্জরিত লেবাননে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জার্মানিতে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মুস্তফা আদিব। গত সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পান তিনি। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং সৌদি আরবের সমর্থন পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির দলসহ ছোট ছোট দলের বেশ কয়েকটি জোটই তাকে সমর্থন দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই এই কূটনীতিক বলেছেন, কথার ফুলঝুরি আর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মতো সময় আর নেই। খবর: আল জাজিরা।
গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় ২০০ মানুষের মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে লেবানন। গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মাত্র এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব সরকার। তাকেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে তার জয়ের ব্যবধান ছিল খুবই সামান্য।
কিন্তু সোমবার ভোটদানে সক্ষম ১২০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ৯০ জনেরই সমর্থন পেয়েছেন মুস্তফা আদিব। মাত্র ১৭ আইনপ্রণেতা অন্য প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ ভোট পেয়েছেন দেশটির একটি আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নাওয়াফ সালাম। আর বাকি আইনপ্রণেতারা ভোটদানে বিরত থেকেছেন।
৪৮ বছর বয়সি মুস্তফা আদিব লেবাননের জনগণের মধ্যে স্বল্প পরিচিত। ২০১৩ সাল থেকে বার্লিনে লেবাননের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের নাজিব মিকাতির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। আর অনেকেই তাকে দেশটির মূল রাজনৈতিক দলগুলোর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলেও মনে করে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মুস্তফা আদিব বলেন, ‘লেবাননের জনগণের মাঝে আকাক্সক্ষা পুনর্বহাল করতে এখন হাতে হাত রেখে কাজ করার সময়।