শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার ভোরে লেবানন ও গাজা উপত্যকাজুড়ে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলে রকেট হামলার পর আক্রান্ত হয় লেবানন ও গাজা উপত্যকা। ইসরাইলে হামলার জন্য ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করছে তেল আবিব। খবর: বিবিসি।
ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, দক্ষিণ লেবাননে হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি পুলিশ অভিযান চালানোর পর থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে রয়েছে।
হামাস বলছে, লেবানন থেকে কে বা কারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, সে সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এটি ১৭ বছরের মধ্যে ইসরাইলের উত্তর প্রতিবেশী থেকে সবচেয়ে বড় হামলা।
ইসরাইলে যখন রকেট হামলা হয়, তখন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহ লেবাননে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে ফিলিস্তিনিরা বসে থাকবে না।
এক বিবৃতিতে শুক্রবার আইডিএফ জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননে হামাসের সন্ত্রাসী অবকাঠামোগুলোয় আঘাত হেনেছে।
আইডিএফ আরও জানায়, ‘আমরা হামাসকে লেবাননের মাটি ব্যবহার করতে দেব না। লেবাননকে তার ভূখণ্ড থেকে সংঘটিত প্রতিটি হামলার জন্য দায়ী করা হবে।’
এদিকে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো কাঁপিয়ে দিচ্ছে গাজার আকাশ। বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ১০ মিনিটের মধ্যে চারটি নতুন জায়গায় আঘাত হেনেছে। জবাবে দক্ষিণ ইসরাইলে নতুন করে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরাও।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জরুরি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করার পর গাজা ও লেবাননে হামলা হলো। এক টেলিভিশন ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আমরা আমাদের শত্রুদের আঘাত করব। সব আগ্রাসনের জন্য মূল্য তাদের দিতে হবে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি দেশটির ভূখণ্ড থেকে যে কোনো সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছেন।
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিফিল বলছে, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।’ বিবদমানদের সংযম ও উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাহিনীটি।