Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 8:21 am

শাজাহান খানের মেয়ের ভুল রিপোর্টের দায় নিলো ল্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ভুল করে’ সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুলের দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছিল।’

পরিচালক বলেন, ‘গত ২৫ জুলাই আমাদের প্রতিষ্ঠানে একটি প্রতিক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। কেননা আমাদের এখানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন। তারা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহের প্রথম দিকে শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসব নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতো।

সে ধারাবাহিকতায় ২৪ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা আমাদের কাছে পাঠানো হয়। এটি সন্ধ্যায় আমরা গ্রহণ করি। ২৪ ঘণ্টাই রিপোর্ট দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা সেই বাধ্যবাধকতার মধ্যে আমরা একটু ব্যত্যয়ের মধ্যে পড়ে যাই। পরবর্তী দিনে আমাদের এখানে সরকারিভাবে যারা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছেন এবং অন্যান্য যারা আছেন তারা এ নমুনা পরীক্ষার কাজে হাত লাগান। সেদিন আমাদের ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা করতে সময় একটু বেশি লেগে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সময় বেশি লেগে যাওয়ার কারণে যাত্রীর তথ্য একটি ফর্মের মাধ্যমে এমআইএস শাখার সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়া হয়। সেখান থেকে তথ্য শিট আমাদের কাছে আসে। সেই তথ্য এন্ট্রি দেওয়ার জন্য আমাদের এখানেও ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা কাজ করেন। সময় বেশি লেগে যাওয়ার কারণে আমাদের সমন্বয়ক ইমিগ্রেশন বুথ এবং ডিএনসিসি বুথে কথা বলেন।

ওইদিন যাদের বিমানযাত্রা ছিল তাদের যাত্রা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য আমাদের এখান থেকে রিপোর্ট তৈরি করে তাদের ই-মেইলে পাঠানো হয়। সেই হিসেবে আমরা কাজ করি। ফলাফল আসার পর তথ্য শিটে কম্পিউটারে এন্ট্রি দেই। সেই এন্ট্রির সময় আমাদের অপারেটরদের যে কারও মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি প্রিন্ট আকারে আমাদের কাছে আসে। সেই তথ্য অনুযায়ী আমরা একটি রিপোর্ট কম্পিউটারে টাইপ করি। সেটা আমাদের একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং একজন কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেন।’

ঐশীর রিপোর্টের বিষয়ে পরিচালক বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা প্রথমে কিছু-সংখ্যক যাত্রীর ফলাফলের রিপোর্ট এবং রাত সাড়ে ৯টায় বাকি যাত্রীদের রিপোর্ট পাঠাই এমআইএস ইমিগ্রেশন এবং ডিএনসিসির ই-মেইলে। যখন এ ডেটাগুলো আমাদের অপারেটররা এমআইএসের সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়ার কাজ করে, প্রথম যাত্রার ই-মেইলে প্রাক্তন মন্ত্রী শাজাহান খানের কন্যা ঐশী খানের রিপোর্ট ছিল। সেটি ভুলক্রমে ফলাফল লেখা ছিল নেগেটিভ। ওই নেগেটিভ রিপোর্ট আমাদের কম্পিউটার থেকে তৈরি করা হয়। আমাদের একজন অফিসার সেটি স্বাক্ষর করেন এবং ই-মেইলে পাঠানো হয়।’