প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপে

শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম আপাতত স্থগিতই থাকছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র প্রদানসহ এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়ার আদেশ আপাতত বহাল থাকছে। এ-সংক্রান্ত রুল আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার এ আদেশ দেয়া হয়।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে, এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র প্রদানসহ এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা সোমবার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে লিভ টু আপিলকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুস শুনানি করেন।

রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া।
পরে আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত রুল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগ নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপাতত বহাল থাকছে। অর্থাৎ এই সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। তবে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩১ প্রার্থী গত নভেম্বরে রিটটি করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ নভেম্বর রুল দেন। পাশাপাশি গত ৩১ অক্টোবর ও গত ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশের পর নিয়োগপত্র ইস্যু হয়নি।