শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা উঠলেই স্কুল প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পদ্ধতি এবং আপনার দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অথবা স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তৈরি করা প্রোটোকল অনুসারে শ্রেণিকক্ষের জন্য কিছু বিধি প্রস্তুত করা জরুরি।

সুপারিশকৃত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছেÑক. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে কমপক্ষে এক মিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা; খ. প্রতিটি ডেস্কের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো (প্রতিটি ডেস্কের মধ্যে কমপক্ষে এক মিটার বা তিন ফুট), হঠাৎ ছুটি-বিরতি ও দুপুরের খাবারের বিরতি দেয়া (এটি করা সম্ভব না হলে একটি বিকল্প হলো ডেস্কে বসে দুপুরের খাবার খাওয়া); গ. স্কুল এবং স্কুল-পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলামেশা সীমিত করা। যেমন, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সারা দিন একটিমাত্র ক্লাসরুমে থাকবে এবং শিক্ষকরা বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে যাতায়াত করবেন; অথবা সম্ভব হলে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের জন্য ভিন্ন প্রবেশপথ ব্যবহার করা, অথবা প্রতিটি শ্রেণির জন্য ভবন বা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ ও বের হওয়ার একটি পদ্ধতি চালু করা; ঘ. স্কুল শুরু এবং বন্ধের সময়ের মধ্যে ভিন্নতা আনতে এবং স্কুলের সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের একসঙ্গে থাকার বিষয়টি এড়াতে স্কুলের দিনগুলোকে আলাদা করা; ঙ. প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে যাতে কমসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রবেশের অনুমতি পায় (যদি জায়গা থাকে) সেজন্য সম্ভব হলে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা; চ. স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া বা ডে কেয়ারের সময় জনসমাগম না করার পরামর্শ দেয়া এবং সম্ভব হলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবার বা সম্প্রদায়ের বয়স্ক সদস্যদের পরিহার করা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিশুদের বড় ধরনের জমায়েত কমাতে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুলে রেখে যাওয়ার সময়গুলোকে আলাদাভাবে বিন্যস্ত করা (বয়সভিত্তিক); ছ. প্রবেশপথের চারপাশে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন চিহ্ন, মাটিতে দাগানো, টেপ, দড়ি এবং অন্যান্য উপায় ব্যবহার করা; জ. শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলার পাঠ কীভাবে পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করা; ঝ. যতটা সম্ভব পাঠগুলোকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে সরিয়ে নেয়া বা কক্ষগুলোয় বায়ুচলাচল নিশ্চিত করা; ঞ. স্কুল প্রাঙ্গণ ছাড়ার পরে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের জমায়েত না করতে এবং সামাজিকীকরণ না করতে উৎসাহিত করা।

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে