প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহ লকডাউনের আদলে বিধিনিষেধের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি-লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবার জন্য দুটি ফেরি চালু রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ।
তিনি জানান, পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসসহ ছোট বড় সব মিলিয়ে আট শতাধিক যানবাহন শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। পারাপারে ফেরি না থাকায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে এসব যানবাহন। দীর্ঘসময় ঘাটে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে চালক ও যাত্রীরা। শুধু পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে নির্দিষ্ট সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
মাধারীপুরগামী একটি পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মো. রুবেল বলেন, লকডাউন আমরাও মানি। কিন্তু অন্তত একটি ফেরি দিয়ে শুধু ট্রাকগুলো পারাপারের ব্যবস্থা করে দিলে ভোগান্তিতে পড়তাম না।
ট্রাকচালক গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ট্রিপ শেষ না করলে টাকা পাব না। বেড়াতে তো যাচ্ছি না। পেটের খাবারের জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। রাতে পার করবে বলা হয়েছে। কিন্তু দিনে পার করে দিলে আমরা তাড়াতাড়ি মালগুলো পৌঁছাতে পারতাম। ঘাটে দীর্ঘক্ষণ আটকা থাকলে সব মিলিয়ে খরচ অনেক বেড়ে যায়।
সাফায়েত আহমেদ জানান, ঘাটে প্রায় চার শতাধিক যেসব ট্রাক আটকে আছে সেগুলোকে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে পার করা হবে। লকডাউনে দিনে শুধু এপার থেকে একটি ও ওপার থেকে একটি ফেরি চলাচল করবে। এসব ফেরি দিয়ে রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে।
এছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআইডব্লিউটিসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা মৌখিক নির্দেশনা মোতাবেক সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছি। লিখিত কোনো নির্দেশনা এখনও হাতে পাইনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) হিলাল উদ্দিন জানান, সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে।