মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: জীবিকার তাগিদে সকালের সূর্য উঠার আগে চাকরি বাঁচাতে শিমুলিয়া ফেরিঘাট দিয়ে শ্রমজীবী হাজার হাজার মানুষকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে কর্মস্থলে ছুটতে দেখা গেছে।
ফলে আজ সোমবার(২৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই ফেরীতে তুমুল ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন পাল্টে তারা কর্মস্থলে ছুটছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু করে আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের এ ঢল অব্যাহত রয়েছে।
পদ্মা পাড়ি দিতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের ফেরিতে এখনো উপচেপড়া ভিড়। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে বর্তমানে দিনের বেলায় ২ থেকে ৩টা ফেরি চলাচল করলেও রাতের বেলায় ফেরি সচল থাকে ৬ থেকে ৭টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সহস্রাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।
মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাঠাঁলবাড়ী ঘাটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। তারা যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফেরিতে উঠতে দিয়েছেন। তিনি জানান, চাকরি বাঁচাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটছে শ্রমজীবী মানুষ।

তাই সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের ঢল দেখা গেছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে ভোগান্তির কবলে পড়েছে শ্রমজীবী শত শত মানুষ। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলে যায় বলে ঘাট সূত্র জানিয়েছে।
একাধিক যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে দায়িত্ব পালনরত পুলিশকে জানায়, চাকরি বাঁচাতেই তারা কর্মস্থলে ছুটে যাচ্ছেন। শিমুলিয়া ঘাটে গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়া যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আবার কেউ পিকআপ ভাড়া করে নিজ নিজ গন্তব্যে গেছেন।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলালউদ্দিন জানিয়েছেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কোন ছোট পরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই ছোট যানবাহনে করে অনেক রাস্তা ঘুরে ঢাকার বাবুবাজারের দিকে ছুটে গেছেন শত শত শ্রমজীবী মানুষ।
সেখান থেকে পরিবহন পাল্টে অন্যান্য যানবাহন দিয়ে গন্তব্যে গেছেন তারা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তির শিকারও হয়েছেন। বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম আরও জানান, দিনের চেয়ে রাতের বেলায় পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় নৌরুট পারাপারে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়।
এসব গাড়ি ছাড়া যাত্রীবাহি কোন যানবাহন উভয় ঘাটে নেই। দুই একটি গাড়ি জরুরি সেবার ঘাটে আসলে সেগুলো পারাপার করা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম।