প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জসহ সাত জেলায় ৩০ জুন পর্যন্ত ৯ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ লকডাউনের দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলোয় মানা হচ্ছে না কোনো বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে ফেরিগুলোয়। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শত যাত্রীকে ফেরিযোগে পদ্মা পাড়ি দিয়ে রাজধানীতে যেতে দেখা গেছে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় হেঁটে, পিকআপ ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চড়ে শিমুলিয়া ঘাট এলাকা ত্যাগ করছে মানুষ। তবে ফেরিতে গণপরিবহন ছাড়া পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট গাড়ি পারাপারে পদ্মার এ রুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে সচল রাখা হয়েছে ১৪টি ফেরি। ফেরি দিয়ে শুধু কাঁচামাল, পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান। তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চলাচল বন্ধ।
তবে নির্দেশনা অমান্য করে বাংলাবাজার থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি দিয়ে আসছে ঢাকামুখী শত যাত্রী। ওপার থেকে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা হলে যাত্রীচাপ কম হতো। ফেরিতে জরুরি ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও যাত্রীরা সে নিয়ম কিছুই মানছেন না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে সবগুলো বন্ধ রয়েছে এবং গত ৩ এপ্রিল থেকেই তিন শতাধিক স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বুধবার নির্দেশনা কার্যকর করার লক্ষ্যে সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে চেকপোস্ট বসানো রয়েছে।
ফেরিতে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ওপারে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহনকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।