শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত

শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ: নাব্যসংকটের কারণে তিন মাস ধরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি সার্ভিস সচল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে। এ নৌরুটে দিনে সীমিত চলাচল করলেও রাতে ফেরি চলাচল থাকছে বন্ধ। দিনে চলাচলকারী অনেক ফেরিও প্রায়ই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। এতে এ রুটে চলাচলকারী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে তিন মাস ধরে নাব্যসংকট নিরসনে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ একাধিক ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং কাজ করলেও কোনো উপকারই হচ্ছে না। তাই ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ড্রেজিং করে পলিমাটি দূরে না ফেলে তা পাশেই ফেলে দেওয়ায় ঘূর্ণায়মান স্রোতে পলিমাটি আবারও জড়ো হওয়ায় নাব্যসংকট রয়েই যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এবার পদ্মায় মাত্রাতিরিক্ত পলি জমেছে। জরিপ করে দেখা গেছে, নাব্য সংকট নিরসনে নৌরুটে ৩২ লাখ ঘনমিটার পলিমাটি অপসারণ করতে হবে। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত পলি অপসারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ঘনমিটার। আরও ২২ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করতে হবে।
ঘাট সূত্র জানায়, দিনে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করলেও রাত ৮টার পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর সকাল ৭টায় আবারও সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া কার্যালয়ের এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, নাব্যসংকট ও ডুবোচর থাকায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি সার্ভিস রাতে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন জানান, লৌহজং টার্নিং চ্যানেলের মুখে বারবার পলি জমে নাব্যসংকট দেখা দেওয়ায় ফেরি চলাচল করতে পারছে না। বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজারগুলো পলি কেটে তা ফেলে দিচ্ছে ড্রেজিং স্থানের আশপাশেই। ফলে কোনো উপকারই হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) এএসএম আরেফিন জানান, লৌহজং টার্নিং চ্যানেলের মুখেই ড্রেজিং করা হচ্ছে। ড্রেজিং করা স্থান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খতিয়ে দেখা হচ্ছেÑকী করা হলে ফেরি চলাচল সচল করা যায়।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, নৌরুটে যে পরিমাণ পলি জমেছে, সে হিসাব অনুযায়ী ৩২ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করতে হবে। গত জুনের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া ড্রেজিং কার্যক্রমে এ পর্যন্ত পলি অপসারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ঘনমিটারের বেশি। আরও ২২ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করতে হবে।