ক্রীড়া প্রতিবেদক: আট বছর আগে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। যা এখনও পীড়া দেয় তামিম ইকবালকে। তবে এবার আর সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চান না তিনি। বরং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আসন্ন সিরিজের শিরোপা জিতে দুঃখ ভুলতে চাইছেন দেশসেরা এ ওপেনার।
এর আগে ২০০৯ সালে ঢাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটে হেরেছিল টাইগাররা। ঠিক আট বছর পর আবারও ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ লঙ্কানরা। সঙ্গে রয়েছে জিম্বাবুয়েও। প্রতিপক্ষ কারা, তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তামিম। তার চোখে শুধুই শিরোপার স্বপ্ন। গতকাল ছুটি শেষে ড্যাশিং এ ওপেনার অনুশীলনে ফিরেই আসন্ন সিরিজে নিজেদের লক্ষ্যের কথা বলেন। ‘আসন্ন জিরিজে শিরোপা জেতার আশা করছি। আমরা অবশ্য খুব বেশি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলিনি। একবার ফাইনাল খেলেছিলাম। এবার একটা দারুণ সুযোগ হয়ে এসেছে আমাদের সামনে।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য এরই মধ্যে প্রধান কোচ ছাড়াই গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে মিরপুর একাডেমিতে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ। মূল লড়াইয়ে আগে আরও বেশ কয়েক দিন নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাচ্ছে টাইগাররা। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়েও কাজ করা হবে। যা স্বাগতিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল সে কথাই যেন মনে করিয়ে দিলেন তামিম। ‘যে দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা হবে, তাদের আমরা ভালোভাবে চিনি। ওদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানি। ওরাও অবশ্য আমাদের সম্পর্কে জানে। আমরা আরও যে কদিন অনুশীলনের সুযোগ পাব, এ দিনগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এ কদিনে আমরা দারুণ একটা প্রস্তুতি নিতে পারব।’
শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্য যে কোনো সময়ই হতে পারে বিপদের কারণ। যা ভালো করেই জানেন তামিম। তাই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে সতর্ক বাঁহাতি এ ওপেনার। তবে ঘরের মাঠে খেলা বলে নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন চট্টগ্রামের এ ক্রিকেটার ‘আমার মনে হয় খুবই আকর্ষণীয় একটা সিরিজ হবে। অন্য দুটি দলও ভালো। শ্রীলঙ্কা ভালো দল। এ ছাড়া জিম্বাবুয়েও তাদের দিনে ভয়ঙ্কর হতে পারে। বাংলাদেশে খেলা, আমাদের হোমগ্রাউন্ড। গত দু-তিন বছরে আমরা যেরকম ক্রিকেট খেলে এসেছি, বিশেষ করে দেশের মাটিতে, আমাদেরই ফেবারিট হওয়া উচিত।’
আগামী ১৫ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টাইগারদের নতুন বছরের মিশন শুরু হবে।