শুল্কারোপে ছাড় না দিয়েই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাণিজ্যবিরোধ নিরসনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি চীনের পণ্যে শুল্কারোপের নীতি থেকে সরে আসবেন না। হোয়াইট হাউজের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানান। খবর: রয়টার্স ও ইয়ন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আসন্ন সম্মেলনে বাণিজ্যবিরোধ নিরসন আলোচনায় অগ্রগতি না হলে চীনের আরও ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্যে শুল্কারোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তাই সম্ভাব্য আলোচনায় অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আসলে কী হবে, তা কেউই নিশ্চিত নন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে চীনের সঙ্গে এ পরিণতিতে বাণিজ্য আলোচনায় মিলিত হতে চায়নি। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক শর্ত ভাঙায় চীনের বিরুদ্ধে শুল্কারোপের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বাণিজ্য আলোচনার সিদ্ধান্ত অন্তত এখনকার মতো শুল্কারোপ স্থগিত করতে পারে, কিন্তু ট্রাম্প যদি কোনো অগ্রগতি না দেখেন তাহলে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে।
চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। এ বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনায় বসলেও কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয় তা। আসন্ন ট্রাম্প-শি জিনপিংয়ের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিরোধের তীব্রতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের হুমকি বা চাপের মুখে চীন ভীত হবে না। চীনের সামনে যেমন কোনো বিকল্প নেই, তেমনি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায়ও নেই, কেবল শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। চীনা জনগণের এই ইস্পাতকঠোর প্রতিজ্ঞাকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না কোনো ব্যক্তি বা শক্তির।’
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ ওয়াশিংটনের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন খরচ বাড়াবে, আর মার্কিন ভোক্তাদের মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দেবে।