শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ

শেকৃবিতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ফ্যাসিস্টের সহযোগী নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যতম দোসর নজরুল ইসলাম সুলতানকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্ব দেওয়ায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও শেকৃবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর শাহী আলম এবং শহিদুর রহমানের আস্থাভাজন নজরুল ইসলাম সুলতানকে শেকৃবির রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্ব দেওয়ায় জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমান প্রশাসনে ট্রেজারারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেই নজরুল ইসলাম সুলতান রুটিন দায়িত্ব পেয়েছেন।

অথচ অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় যিনি লাঞ্ছিত, অপমানিত ও হামলা-মামলার শিকার হয়ে হাজতবাস করেছিলেন—সেই কৃষিবিদ খন্দকার আসাদুজ্জামান কিটন, যিনি উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও, তাকেই উপেক্ষা করে সুলতানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান উপাচার্য ও প্রো-উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর ফ্যাসিবাদী দোসরদের অনেককেই শাস্তিমূলকভাবে অপসারণ করলেও নজরুল ইসলাম রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যার ফলে জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ ধরনের স্বজনপ্রীতির কারণে যে কোনো সময় শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী ক্ষোভে ফেটে পড়তে পারেন।

সূত্র আরও জানিয়েছে, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ দোসর নজরুল ইসলাম সুলতান শেকৃবির সাবেক তিনজন উপাচার্যের আস্থাভাজন হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কুড়িয়েছেন কাড়িকাড়ি টাকা।

সচেতন মহল মনে করছে, নজরুল ইসলাম সুলতানকে দ্রুত পদ থেকে সরিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকে দায়িত্বে না বসালে শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়বে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য শেকৃবির মাননীয় উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তারা।

একে