শেয়ারদর বেশি বেড়েছে পাট খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসেও গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে টানা তিন দিন ধরে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে পাট খাতের শেয়ার। এর ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর শেয়ারদর বেশি বেড়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে রয়েছে আইটি ও বিমা খাতের শেয়ার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে একটি কোম্পানির এবং একটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতের শেয়ারদর গতকাল বেড়েছে দশমিক ৭০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে তিনটি কোম্পানির শেয়ারের এবং দুটির শেয়ারদর কমেছে।

শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতের শেয়ারদর দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। আলোচিত খাতটিতে গতকাল মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। খাতটিতে লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দুটির দাম বেড়েছে এবং আটটির শেয়ারদর কমেছে। এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ার। এ খাতে গতকাল শেয়ারদর বেড়েছে দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ২০ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানির শেয়ারে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। এক শতাংশ শেয়ারদর কমে গতকাল তৃতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয় বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা কাগজ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে গতকাল ডিএসইতে ৪৭৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার কম শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ছয় হাজার ৩৫০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৩৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩১ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৮টির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট কমেছে। গতকাল সিএসইতে ১৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।