Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 5:31 am

শেয়ার বিক্রি করবে লাফার্জহোলসিমের করপোরেট উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির করপোরেট উদ্যোক্তা সিনহা ফ্যাশানস লিমিটেড শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, সিনহা ফ্যাশানস লিমিটেডের কাছে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৫ হাজার রয়েছে। আর এ করপোরেট উদ্যোক্তা ২৬ লাখ ২৭ হাজার শেয়ার বিক্রি করবে। বর্তমান বাজারদরে (পাবলিক/ব্লক মার্কেটে) আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসই এর মাধ্যমে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করবে সিনহা ফ্যাশানস। এদিকে সম্প্রতি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের জন্য ১৯ শতাংশ হারে চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিল, যা ইতিমধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের জন্য সর্বমোট ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিচ্ছে লাফার্জহোলসিম। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ০১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৮২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৮ মে বেলা ৩ টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ এপ্রিল।

লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য ৫০ শতাংশ হারে চূড়ান্ত লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫ টাকা ১২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৮৩ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ২৫ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ০৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৪ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ শেয়ার ১ হাজার ৪০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৪৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৪৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৪ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।